আজকাল খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে,
ইচ্ছে করে একটু ছোট্ট অসুখেই যেন মরে যাই,
ইচ্ছে করে চোখদুটো উপরে ফেলি,
দেখার স্বাধ মিটে গেছে অদেখা বিস্বাদে।
ইচ্ছে করে আঙুলগুলো কেটে ফেলি,
লেখার আগ্রহ মিইয়ে গেছে রক্তাভ কালিতে,
স্বপ্নগুলো হত্যা করতে ইচ্ছে জাগে,
দুঃস্বপ্ন আর ভালো লাগে না।
নষ্ট হতে অনেক মন চায়,
ভালো থাকার অভিনয় আর ভালো লাগে না।
ইচ্ছেগুলো দুমড়ে মুচড়ে পিষে ফেলতে চাই,
মাথার চুল চেষে ন্যাড়া করতে চাই,
চামড়ায় চামড়ার জোতা ছুড়ে ফেলে দিতে চাই,
কাপড় নামক কাফন খুলে ফেলতে চাই,
কি হবে এসব দিয়ে?
হার্টবিট এর অতিশয্য-এ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ,
লোক দেখানো ঠুনকো সুখ, সময়ের কালক্ষেপণ।
তার চেয়ে ভালো,
মাথার মগজ গলে যাক,
হৃদয় নামক শব্দ সেথা হতে উবে যাক,
হাসি নামক হাস্যরসাত্মক আবেগ মুছে যাক,
নিদ্রা নামক স্বস্তি নরকে-ই জায়গা করে নিক।
খুব ইচ্ছে করে ঘাস হয়ে কারো পায়ে পিষে যেতে,
ইচ্ছে করে হেলার ভেলায় অথই জলে ডুবে যেতে,
খুব ইচ্ছে করে এমন কোথাও যেতে,
না যেন পারি আর ফিরতে।
না, এ আমার অভিমান নয়,
এ নয় কোন অনুনয়, নয় নিরাশার বর্ণনা,
সত্যই মরে যাবো, হারিয়ে শূন্য হবো,
কেউ খুজবে এ আশা করি না,
কেউ ফেরাবে এ ভরসায় থাকি না,
যখন থাকে না আর কিছুই পাবার,
থাকে না নতুন করে হারাবার,
পেছন ফিরে তাকাবার আর দরকার পরে না,
নিজের অস্তিত্ব যেখানে বিলীন,
কি হবে বেঁচে থেকে? কার তরে এ যৌবন?
কিসের মোহে এ জাগ্রত থাকা?
কোন অধিকারে এ পরাধীনতা?
কোন ইচ্ছে-ই এ স্বেচ্ছা নির্বাসন?
তাই চলেই যেতে চাই, না গিয়েতো উপায় নাই,
থাকারতো কোন জায়গা পেলাম না,
ধরারতো কোন হাত-ই রইলো না,
অধরায় থেকে গেলো সব,
উহ্যই রয়ে গেলো সব প্রকাশ,
নিরব-ই রয়ে গেলো সব কলরব।
আমার এ চলে যাওয়া-ই যদি কারো চাওয়া হয়,
আমার এই না থাকাই যদি কারো পাওয়া হয়,
আমি নিজেকে নিয়ে নিলাম নিজেতে,
আমি চলে গেলাম তোমাদের শূন্যতা হতে,
তোমাদের বেসুরা বিন হতে,
তোমাদের কদর্যতা হতে মুক্তি পেতে।
এক অবলা অবহেলার, এক চাতুরি ছলনার প্রতিবাদে,
আমি নিজের কাছে আজ সমর্পণ করলাম নিজেকে,
আত্মশুদ্ধি পেতে, আত্মা মুক্তি দিতে,
বিদায় নিলাম নিজেকে হত্যা করে।

ড. মোঃ নিজাম উদ্দিনঃ ১০।১২।১৯