আজ তাদের দু’জনেরই উনিশ।
অজানা এক অদ্ভুত মন খারাপ করা সময়ই তাদের ছাড়ছেনা কিছুতেই।
গভীর রাতে,
মেয়েটি তার পাঁচতলার জানালার পর্দা সরিয়ে,
জোছনা ভরা আকাশে তাকিয়ে
জ্বলজ্বল করা চাঁদকে দেখে-
এক অদৃশ্য হাহাকারে বলে উঠলো,
‘আহা কতো সুন্দর, তবুও বিষন্ন’।
ঠিক সেই সময়ই
ছেলেটি গভীর রাতে রেল ষ্টেশনে দাড়িয়ে
একই চাঁদকে দেখে-
সেই একই হাহাকারে বললো,
‘আহা কতো সুন্দর, তবুও বিষন্ন’।
পৃথিবীর কোথাও চাঁদের বিষন্নতা নিয়ে
দু’জন নারী- পুরুষ,
একই সময় এতো কষ্টের কথা
ঠিক একই সময়ে কখনো বলেনি।
আপনারা কি জানেন?
বিষন্ন চাঁদটা সেই সময়ই
বৃষ্টির মতো ছলছল করে ঝরে পড়েছিলে তাদের
উনিশের অদ্ভুত বিষন্ন বুকে।
উনিশের বুক কষ্ট পেলে ঈশ্বরেরও পাপ হবে।
“ঈশ্বর দয়া করে একদিন ছেলে-মেয়েটির দেখা করিয়ে দিন,
আপনি পাপ থেকে মুক্ত হোন,
তারা হয়তো বিষন্নতা অদল বদল করবে”।
——————————————