অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ তাঁর কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে যোগে তা পৌঁছায়। সেখানে সকাল সাড়ে ছয়টায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আবরারের মরদেহ কুষ্টিয়ায় পৌঁছালে সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত নারী-পুরুষের ঢল নামে। আবরারের মরদেহ দেখতে আসা ও জানাজায় অংশ নেওয়া অনেকের প্রশ্ন ছিল, বুয়েটেতো অনেক মেধাবী ছাড়া ভর্তি হওয়া যায় না। তাহলে যারা আবরারকে হত্যা করেছে তারাওতো মেধাবী। কিন্তু তারা কি শিখেছে?সাজেদা খাতুন নামে আবরারদের এক প্রতিবেশী অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস দিয়ে আবরারের মরদেহ দেখে মন্তব্য করেন, মায়ের একটি কলিজা ছিদ্র হয়ে গেছে (সন্তান হারানো)। তাকে তারা কি বলে শান্তনা দেবে।
স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, দুপুর নাগাদ আবরারের দাফন হবে তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টির কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গায়। দাফনের আগে সেখানে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আবরারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঢাকায় বুয়েট প্রাঙ্গণে গতকাল রাত দশটার দিকে। এরপর তাঁর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চক বাজার থানায় হত্যা একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাপোস্ট২৪ /জামিল