ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২: খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন বর্তমানে হত্যা, দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয় ও অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় দেশ ডুবে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। চলমান সকল সংকট উত্তরণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ঈমানের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে সামনে পথ চলতে হবে। দ¦ীন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল নবী-রাসুলকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অনেকে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমাদেরকেও জুলুম নির্যাতনের বাধা মোকাবেলা করে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে সমাজ পরিবর্তনের যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে জ্ঞান ও চরিত্রে সমৃদ্ধ হতে হবে। ইনশাআল্লাহ এদেশে কুরআন সুন্নাহর হুকুমত কায়েম হবে, তা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২২ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আজ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার সকাল ৯টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল বিলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য পেশ করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, ঢাকা সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি হুজাইফা, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, মাওলানা সোহাইল আহমদ, মাওলানা আজীজুল হক, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জয়নুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, প্রভাষক আবদুল করিম, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, মুফতী ওযায়ের আমীন, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সভাপতি হাজী নূর হোসেন, ছাত্র মজলিসের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল তোফায়েল আহমদ, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান আলী, বায়তুলমাল ও প্রচার সম্পাদক কেএম ইমরান হোসাইন, অফিস ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইসমাইল খন্দকার, সাইফুল ইসলাম জলিল, হাসান আহমদ খান, আহসান আহমদ খান প্রমুখ।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিস মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের বলেন, সর্বত্র অনাচার, শোষণ, জুলুম ও নির্যাতন চলছে। দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ নিষ্পেষিত। সাধারণ মানুষ আজকে কথা বলতে পারছে না। রাজনৈতিক কর্মীরা মাঠে নামলে গুলি-হত্যার শিকার হতে হয়। এ অবস্থা কোনভাবেই চলতে দেয়া যায় না। এ সমাজকে বদলাতে হবে। সমাজ বদলের কারিগর হচ্ছে ছাত্র সমাজ। তাই ইসলামী ছাত্র মজলিসকে এদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে জাতীয় জীবনে পরিবর্তন সাধন করতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মনির হোসাইন বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও ঈমানের চেতনায় উজ্জীবিত করে দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে। ছাত্র সমাজের মাঝে জ্ঞান ও চরিত্রের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি সফল সমাজ বিপ্লবের পথ রচনা করতে হবে। ইসলামী ছাত্র মজলিসের কর্মীদেরকে আগামী দিনের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে। জ্ঞান অর্জন, চরিত্র গঠন ও সমাজ বিপ্লবের কাক্সিক্ষত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে এক বিশাল র্যালী ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন মোড় হয়ে হাইকোর্ট মসজিদ গেটে এসে সমাপ্ত হয়।অধিবেশনে একটি শোক প্রস্তাবসহ শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন পরিস্থিতি, সমাজিক অস্থিরতা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রসঙ্গে ৩টি গ্রহীত হয়। আগামীকাল সকাল ৯টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।