নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া প্রেমিক আমিন হোসেনের পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই নারী হলেন লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের আজিজ উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা। আহত আমিন লালপুর উপজেলার পানসিপাড়া গ্রামের সোবাহান উদ্দিনের ছেলে। বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীখন্ডি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় প্রথমে আমিনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৫ বছর আগে লালপুর উপজেলার পানসিপাড়া গ্রামের মৃত সায়েতুল্লাহর ছেলে মাহবুবের সাথে বিয়ে হয় ছাবিনার। তাদের ঘরে রয়েছে সাব্বির (১৩) ও মাহফুজ (৮) নামে দুই সন্তান।
জীবিকার তাগিদে গত দুই বছর আগে সৌদি যান মাহবুব। এরপর থেকেই আমিনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ছাবিনা। আমিনের সাথে ছাবিনার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী মাহবুবের সাথে তার প্রচন্ড ঝগড়া হয়। রাগারাগির একপর্যায়ে গত আট মাস আগে ছাবিনা মাহবুবকে তালাক দিয়ে লালপুরের দেলুয়া গ্রামের আজাহার উদ্দিনের ছেলে আনারকে বিয়ে করে।
ছাবিনা ও আনারের দাম্পত্য জীবনে আবারও হাজির হয় আমিন। তার সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জোর করে আমিন। না হলে গোপন খবর আনারকে জানিয়ে দেবার ভয় দেখায়।
সোমবার (৯ আগস্ট) সারাদিন আমিন ছাবিনাকে নিয়ে লালপুরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যায় বড়াইগ্রামের শ্রীখন্ডি এলাকায় তার ভাগ্নিজামাই সেলিমের বাসায় আসে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসাথে সেখানে তারা রাত্রীযাপন কালে আনুমানিক দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছাবিনা ব্লেড দিয়ে আমিনের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, ওই নারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। বাদীপক্ষ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী রয়েছে। তারা আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Source :BD Pratidin