সিলেট , প্রতিনিধি :
প্রেমিকার বিনিময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত এলো এক নাগরিকসহ শতাধিক গরু। আর এ বিনিময়ের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে খাসিয়া প্রেমিকাকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখালা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকে ভারতীয় খাসিয়া প্রেমিকার বিনিময়ে নিজ দেশে ফেরত এলেন জৈন্তাপুরের নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
মিকার বিনিময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত এলো এক নাগরিকসহ শতাধিক গরু। আর এ বিনিময়ের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে খাসিয়া প্রেমিকাকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখালা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকে ভারতীয় খাসিয়া প্রেমিকার বিনিময়ে নিজ দেশে ফেরত এলেন জৈন্তাপুরের নুর উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
জানা যায়, গত শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা হারিছ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়া ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াই বস্তির বাসিন্ধা চংকর খাসিয়ার স্ত্রী কারেংশুকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। কারেংশু পাঁচ সন্তানের জননী । পাঁচ সন্তানকে ছেড়ে প্রেমের টানে সে জৈন্তাপুরের ফিরোজের হাত ধরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর ফিরোজসহ ওই নারী আত্মগোপনে চলে যায়।
গত ১৬ অক্টোবর এর জের ধরে ১বাংলাদেশী নাগরিকসহ প্রায় শতাধিক গরু ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় খাসিয়ারা। এনিয়ে দু’ দেশের সীমান্তে চলে টান টান উত্তেজনা।
এরই মধ্যে পুলিশ, বিজিবি মিলে খোঁজ পায় কারেংশু খাসিয়াসহ তার বাংলাদেশি প্রেমিক ফিরোজের। মৌলভীবাজারের জুড়ি পুলিশ তাদের খোঁজ পায়।
গত দুই দিন ধরে সীমান্তে বিজিবি- বিএসএফ এর মাঝে চলে পতাকা বৈঠক । কারেংশু খাসিয়াকে ফেরত দিলে ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুন নুর ও ধরে নিয়ে যাওয়া গরু তারা ফেরত দেবে বলে জানায়।
বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর সীমান্তে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে লিখিত ভাবে হস্তান্তর করা হয় কারেংশুকে। এরপরে ফেরত দেয়া হয় বাংলাদেশী নাগরিক নুরসহ খাসিয়া কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া শতাধিক গরু।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা হতে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখালা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে শান্তিপূর্ণ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৯বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল কাদির, জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই আতিকুর রহমান রাশেল, এ.এস.আই যমুনাসহ বিজিবি’র প্রায় ৪০জন বিজিবি ও পুলিশ সদস্য।
অপরদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতীয় বিএসএফ’র হেওয়াই ক্যাম্প কমান্ডার আই.এস.পি সুরেন্দ্র রায়, এস.আই পংকজ কুমার, এইচ.সি মহর সিং, ভারতীয় পুলিশের এস.আই আর-এ-পারিয়াং। এতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উভয় দেশের আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসা ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে নিজ নিজ দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কৃষকদের শতাধিক গরু ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির জানান, আমরা কয়েক দফা শান্তিপূর্ণ ভাবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে চলে আসা নারীকে পুলিশের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা হতে উদ্ধার করে নিয়ে আসি এবং বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ভারতীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করি। খাসিয়া কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী নাগরিকসহ গরুগুলো তাদের নিকট হতে আমরা বুঝে নেই। বর্তমানে জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাপোস্ট২৪/ সাইফ /জামিল
বাংলাদেশ সময়:৬১৭ ঘন্টা ,২০ অক্টোবর ২০১৯