বাংলাপোস্ট ডেস্ক :

আড়াই বছরের ঘুমন্ত শিশু রহমতকে তুলে নিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ বাবা হানিফ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষাণচর ইউনিয়নের মকবুল মুন্সীর ডাঙ্গী গ্রামে শুক্রবার রাতে নির্মম এ ঘটনাটি ঘটে। সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহের জেরে এ হত্যাকা- বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার পর থেকেই হানিফ পলাতক।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন বছর আগে শুকুর প্রামাণিকের ছেলে লেগুনাচালক হানিফ প্রামাণিকের সঙ্গে নগরকান্দা উপজেলার পাড়াদিয়া গ্রামের স্বপ্নার বিয়ে হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগে থাকত। এর মধ্যেই স্বপ্নার কোলজুড়ে আসে ছেলে রহমত প্রামাণিক। কিন্তু এর পর অশান্তি যেন আরও বেড়ে যায়। শিশুটির পিতৃত্ব নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করা শুরু করেন হানিফ। এ নিয়েও ঝগড়া-বিবাদ হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। স্থানীয়ভাবে তা মিটিয়েও দেওয়া হয়েছে একাধিকবার। স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই সন্তান নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। রহমতকে আমার স্বামী তার সন্তান বলে স্বীকার করছিলেন না। সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে আসার পর আমার সঙ্গে এ নিয়ে আবারও ঝগড়া শুরু করে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার সন্তান পাশে নেই। এর পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতের ভেতর রহমতের লাশ পাই। আর ঘটনার পর থেকেই আমার স্বামী পলাতক।’ একই কথা জানান নিহত শিশুটির দাদা শুকুর প্রামাণিক। নির্মম এ খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাষ- বাবা হানিফের কঠোর শাস্তি চান স্থানীয়রা।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা শনিবার সকালে তার স্বামীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা হানিফ প্রামাণিককে আটকের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।