বাংলাপোস্ট ডেস্ক :

সামাজিক মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অলিম্পিয়া
অলিম্পিয়ার বয়স যখন ১৮ তখন তার একান্ত মুহুর্তের একটি ভিডিও অনুমতি ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঐ ঘটনা তার জীবনকে সম্পূর্ণ পাল্টে দেয়।

তার এক বয়ফ্রেন্ড, যার সাথে ছয় বছর ধরে অলিম্পিয়ার সম্পর্ক ছিল, ভিডিও করলেও সেখানে শুধু অলিম্পিয়াকেই দেখা যায়।

ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল শুধু তাদের দু’জনের জন্যই। অলিম্পিয়ার বয়ফ্রেন্ডও এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর অলিম্পিয়ার নাম হয়ে যায় ‘আবেদনময়ী মোটা মেয়েটি।’

সেসময় সে বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করে, আট মাস তার বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এরমধ্যে তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তবে ধীরে ধীরে সে বুঝতে শুরু করে যে এই ঘটনায় সে আসলে দোষী নয় – সে ভুক্তভোগী। এরপর সে অ্যাক্টিভিস্ট হয়ে যায় এবং সাইবার যৌন হয়রানি বিষয়ে মেক্সিকোর প্রধম আইনের প্রস্তাবটির খসড়া লেখেন যেটি সেখানে ‘অলিম্পিয়া আইন’ নামে পরিচিত।

সাইবার যৌন হয়রানি সংক্রান্ত মেক্সিকোর প্রথম আইনকে ‘অলিম্পিয়া আইন’ বলা হয়
তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাটি তুলে ধরা হলো এখানে…

১৮ বছর বয়সে আমার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্সটেপ তৈরি করি আমি।

আমি জানি আমার নগ্ন ভিডিও – যেখানে আমার বয়ফ্রেন্ডকে চেনা যায় না – কীভাবে হোয়্যাটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়লো।

মানুষজন আমাকে নিয়ে কথা বলতে শুরু করে এবং আমার বয়ফ্রেন্ডও বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। সে দাবি করে যে ঐ ভিডিওটিতে সে ছিল না। তখন মানুষজন জল্পনা শুরু করে যে আমি কার সাথে এই কাজ করতে পারি। স্থানীয় একটি পত্রিকা তাদের প্রথম পাতায় খবর ছাপায় যে আমি আগে সম্ভাবনাময় একটি মেয়ে ছিলাম কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বদনাম হয়ে গেছে। ঐ পত্রিকার বিক্রি বেড়ে যায়, আমার শরীর নিয়ে আলোচনা করে তারা অর্থ উপার্জন করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি প্রতিদিনই যৌন আবেদনে সাড়া দেয়ার অনুরোধ পেতে থাকি।আমি মেক্সিকোর যে অঞ্চল থেকে এসেছি তার সাথে মিলিয়ে তারা আমাকে ”হুয়াউচিনাঙ্গো’র মোটা আবেদনময়ী মেয়েটি’ বলে ডাকা শুরু করে। যখন কাহিনী আরো ছড়িয়ে পড়ে তখন রাজ্যের নামটাও বাদ যা ন। আমার নাম হয়ে যায় ‘পুয়েবলার আবেদনময়ী মোটা মেয়ে।’

আমার মনে হতে থাকে যে আমার জীবনে আর কিছু বাকি নেই। আমি নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলি এবং আট মাস বাইরে যাওয়ার সাহস করিনি। তখন আমার বয়স কম ছিল, আমি জানতাম না আমি কার কাছে সাহায্য পাবো অথবা এই ঘটনা কর্তৃপক্ষের কাছে কীভাবে জানাবো। তার ওপর পুরো ব্যাপারটাই ঘটে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়, যেকারণে মনে হতে থাকে যে এই ঘটনা আসলে ঘটেইনি।

১৫ বছরের বেশি বয়সী মেক্সিকোর দুই-তৃতীয়াংশ মেয়ে কোনো না কোনো ধরণের সহিংসতার শিকার হয় আমি যখন নিজের সিদ্ধান্তেই ভিডিও করেছি তখন নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করবো কীভাবে? তিনবার আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করি। তার মধ্যে একবার আমি একটি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলেন এবং ভাগ্যক্রমে এক বন্ধু গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে দেখে নেমে আসে এবং কথা বলে।

আমি জানি না সে বুঝেছিল কিনা যে সে আমার জীবন বাঁচিয়েছে। আমার মা ইন্টারনেট ব্যবহার করতো না, তাই তিনি পুরো ঘটনাটা জানতেন না। আমি ভেবেছিলাম তার জানতে অনেক সময় লাগবে। আমি বলেছিলাম একটি ভিডিও নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, কিন্তু জানাইনি যে সেটা আমার ভিডিও ছিল। হঠাৎ এক রবিবার আমার পুরো পরিবার যখন আমাদের বাড়িতে উপস্থিত ছিল, তখন আমার ১৪ বছর বয়সী ভাই ঘরে এসে সবার সামনে তার ফোন রেখে বলে, “আমার বোনের ভিডিও আসলে আছে।”

আমার মা কাদঁতে শুরু করেন। আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের দিন ছিল সেটি। আমি আমার মায়ের পায়ে আছড়ে পড়ি এবং তার কাছে ও আমার পুরো পরিবারের কাছে ক্ষমা চাই। আমি তাদেরকে বলি যে আমি মরতে চাই। আমি তাদের বলি আমাকে যেন মরতে সাহায্য করে তারা। তখনই আমার মা – যিনি একটি নৃতাত্বিক গোষ্ঠী থেকে এসেছেন, স্কুল শেষ করেননি এবং লিখতেও পারেন না – আমাকে চমকে দেন।

তিনি আমার মাথা তুলে ধরে বলেন, আমরা সবাই যৌন সম্পর্কে জড়াই। তোমার বোন, তোমার খালা, আমি – সবাই। পার্থক্যটা হলো তারা তোমাকে এটা করতে দেখে ফেলেছে। এর মানে এই নয় যে তুমি খারাপ মানুষ বা অপরাধী। আমি বিস্মিত হয়ে যাই। অলিম্পিয়ার মতে, “প্রতিবার আরেকজনের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি বা ভিডিও যখন আরেকজনকে পাঠানো হয়, সেটি ধর্ষণের মত।”

আমার বাবা বলতে থাকেন, তুমি অন্য যে কারো মত তোমার যৌনতা উপভোগ করছিলে – এবং সেটার প্রমাণ আছে। তুমি যদি কিছু চুরি করতে বা কাউকে খুন করতে বা এমনকি, একটি কুকুরকেও আঘাত দিতে, তাহলে সেটা খারাপ হতো।

সেসময় প্রথমবার আমি নারীদের একাত্বতাবোধের বিষয়টি বুঝতে পারি। তখনই প্রথম বুঝতে পারি যে আমরা নারীরা একসাথে খুবই শক্তিশালী। আমি জানি যে সব কিশোরী আমার মায়ের মত সহিষ্ণু এবং সমঝোতাবোধসম্পন্ন মা পাওয়ার সৌভাগ্য পায় না।

অধিকাংশ নারীই তাদের ব্যক্তিগত যৌনজীবনের বিষয়ে পরিবার, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্রে সমর্থনের অভাব বোধ করেন। সেসময় আমার মা ঘরের ফোন এবং ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আমাকে বোঝান যে বাড়িতে আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

কিন্তু এরপরও অনেক মানুষ আমার বাড়িতে এসে বলার চেষ্টা করে যে তারা আমার একটি ভিডিওর কথা শুনেছে। আমি তাদের কাছ থেকেও লুকিয়ে যাই। ‘এটি ধর্ষণের মত’
মানুষের কোনো ধারণাই নেই এ ধরণের ঘটনার কী প্রতিক্রিয়া ভুক্তভোগীর ওপর পড়তে পারে। এর ফলে সব ধরণের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হয়ে যায়।

আপনার চলাফেরা, অন্তরঙ্গতার চেতনা, ব্যক্তিজীবন প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে এরকম একটি ঘটনা। আর আপনি ধীরে ধীরে এ ধরণের অনুভূতিকে গ্রহণ করা শুরু করেন আপনি মনে করছেন যে আপনিই দোষী।

অলিম্পিয়া যখন জানতে পারেন আরো অনেক নারীই এমন অপরাধের শিকার, তখন তিনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা চিন্তা করেন এই কারণে বিচার পর্যন্ত যাওয়াটা এত কঠিন।

এ ধরণের পোষ্টে প্রতিটি লাইক আগ্রাসনের মত। ভুক্তভোগীর ওপর আরেকটি আঘাত।প্রতিবার আরেকজনের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি বা ভিডিও যখন আরেকজনকে পাঠানো হয়, সেটি ধর্ষণের মত।

তারা আমার সাথে সরাসরি সংস্পর্শে না এলেও তারা আমাকে ধর্ষণ করছে কারণ তারা অনুমতি ছাড়া আমার দেহ ব্যবহার করছে। ডিজিটাল জগতে, কিন্তু আমার দেহই তো।

আমি ভেবেছিলাম যে আমি আর কখনোই বাড়ি থেকে বের হবো না। কিন্তু দুটি জিনিস আমাকে বের হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।

প্রথম, যখন আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে বলে নারীদের তাচ্ছিল্য করে এমন কিছু ওয়েবসাইট দেখতে। সেগুলো দেখার কারণ হিসেবে আমার বন্ধু বলে, “যেন তুমি বুঝতে পারো যে তুমি একাই ভুক্তভোগী না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের আনন্দের জন্য সবার সাথেই এমন করে। তোমার বাগ্মীতা আছে এবং তুমি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

আমি বুঝতে পারি যে অনলাইনে কোনো কারণ ছাড়াই নারীরা উপহাসের শিকার হচ্ছে।

‘এরকম হতে দেওয়া যায় না’
আমি সবচেয়ে বেশি ক্রুদ্ধ হই যখন দেখি ডাউন সিনড্রোমে ভুগতে থাকা এক মেয়ের ছবিতে একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে যে, মেয়েটি দেখতে যেমনই হোক না কেন তার সাথে যৌনতার সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।

তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই যে ‘এরকম হতে দেওয়া যায় না।’

দ্বিতীয় যে ঘটনা আমার মন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে সেটি হলো আমার ভিডিওর খবর ছাপা পত্রিকাটি যখন আরেক নারীর বিষয়ে খবর ছাপে যে তিনি ৪০ জোড়া জুতা চুরি করেছেন।

ঘটনাক্রমে, একদিন আমি যখন জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়েছিলাম, ঐ মহিলাকে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখি।

চমৎকার একটি হলুদ পোশাক পড়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি, তাকে দেখতেও ভাল লাগছিল।

কিন্তু রাস্তার সবাই তাকে বিদ্রুপ করছিল। এমনকী ফুল বিক্রেতা তাকে দেখে ফুল লুকিয়ে ফেলে, যেন তার সামনে পড়লে ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে।

ঐ ঘটনা দেখে প্রথমে আমার মনে হয়েছিল, আমি বাইরে গেলে আমার সাথেও সবাই ওরকম করবে।

কিন্তু আমার মনে হয় “এই মহিলা যদি চুরি করেও রাস্তায় বের হতে পারেন, আমি কেন পারবো না?”

সেদিনই আমি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যাই।

দ্বিতীয়বারের মত পরীক্ষা
অলিম্পিয়া যখন জানতে পারেন আরো অনেক নারীই এমন অপরাধের শিকার, তখন তিনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা চিন্তা করেন , দ্বিতীয়বারের মত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় আমাকে।

দায়িত্বরত অফিসার শুরুতেই আমার ভিডিওটি দেখতে চায়। ভিডিও দেখার পর সে হাসিতে ফেটে পড়ে।

তার বক্তব্য ছিল “আপনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না, মাদকের প্রভাবেও ছিলেন না, কেউ আপনাকে ধর্ষণও করেনি। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, এখানে কোনো অপরাধই হয়নি।”

আমি ক্রুদ্ধ হয়ে ফিরে আসি।

পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙার পর আমার মাথায় আসে “কোনো অপরাধ হয়নি বলে কী বোঝাতে চাচ্ছেন আপনি?”

ইন্টারনেটে যারা এরকম হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমন নারীদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করি আমি।

তাদেরকে আমি বলি, এই অপরাধ সম্পর্কে আমাদের ধারণা না থাকলেও এর বিষয়ে কিছু একটা করতেই হবে আমাদের।

ধীরে ধীরে এবিষয়ে ধারণা পরিস্কার হতে শুরু করে আমাদের। পুয়েবলা রাজ্যের জন্য আইনের একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করি আমরা।
অনেকেই আমাকে বোঝাতে চান যে আমার এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত না। কিন্তু এর মানে হতো পরাজয় মেনে নেয়া।

সবাই এরই মধ্যে জেনে গেছে যে আমি কে এবং আমার শরীর দেখতে কেমন।

আমি যা করতে যাচ্ছি তা আমাকে বিচার পাইয়ে দেবে না, কারণ আমার সাথে যা করা হয়েছে তা আর শোধরানোর উপায় নেই।

কিন্তু আমি ঐসব মেয়েদের কথা ভেবেছি যারা একই ধরণের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে – যেসব মেয়েরা আত্মহত্যার কথা ভাবছে, যেমন আমি ভেবেছিলাম।

সাইবার যৌন সহিংসতা নিরসনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা প্রস্তাবটি পুয়েবলার মেয়রের সামনে জনসম্মুখে উপস্থাপন করি আমি।

আমি যখন মঞ্চে উঠি তখন সবাই কানাকানি করছিল।

সময়টা ছিল ২০১৪’র মার্চ, আমার বয়স তখন ১৯।

আমি শুরুতে বলি “আমি অলিম্পিয়া। ”হুয়াউচিনাঙ্গো’র মোটা আবেদনময়ী মেয়েটি।'”

আমি তাদের আমার ভিডিওর কথা বলি। বলি যে আরও এমন অনেক মেয়ে আছে যারা এধরণের অপরাধের ভুক্তভোগী।

তাদেরকে আমি স্ক্রিনশট দেখাই যে ঐ অনুষ্ঠানের বক্তাদের কয়েকজনও আমার ভিডিওতে ‘লাইক’ দিয়েছে এবং শেয়ারও করেছে।

“আপনারা অপরাধী, আমি নই”, তাদের বলি আমি।

যেই ফেসবুক পেইজটি আমার ভিডিও শেয়ার করেছিল, সেটি পরে বন্ধ হয়ে যায়। তারা জানায় ‘এক উন্মাদ মহিলা’র জন্য তারা পেউজ বন্ধ করে দিচ্ছে।

কিন্তু তখনও বহুদূরের পথ বাকি ছিল।

একজন সাংসদ তখন বলেছিলেন যে তিনি আমার প্রস্তাব সমর্থন করতে পারবেন না কারণ সেটি ‘বেহায়াপনা অনুমোদন’ করার শামিল হবে।

প্রস্তাবটি আইনে রূপান্তরিত হয় ২০১৮’তে।

আইন অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত কোনো বিষয় ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হলে সেটিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

ইন্টারনেটে সাইবার হয়রানি বা যৌন সহিংসতার বিষয়গুলোও সংজ্ঞায়িত করা হয় আইনে।

এই ধরণের অপরাধ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির বিষয়গুলোও জায়গা পায়।

কয়েক বছরের আলোচনার পর পুয়েবলা রাজ্যে আইনটি পাস হয়।

তারপর থেকে এখন পর্যন্ত মেক্সিকোর ১১টি রাজ্যে এই আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

‘ইন্টারনেটে নিরাপত্তা চায় নারীরা’
আইনের বাস্তবায়নের চেয়েও আমরা এর মূল প্রতিপাদ্যটি সম্পর্কে বেশি সচেতনতা চাই। এই ধরণের সহিংসতা রোধ এবং প্রতিকারের লক্ষ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চাই আমরা।

নারীরা ইন্টারনেটে সচেতনতা চায়।

একদল নারী মিলে আমরা ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর সরোরিটি তৈরি করি, যেই সংস্থা এই ধরণের ঘটনার বিষয়ে কাজ করে এবং ভুক্তভোগীদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে তারা একা নয়।

ডিজিটাল সহিংসতা এড়িয়ে চলতে এবং নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে নারীদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করি আমরা।

এক সাংবাদিক তার প্রতিবেদনে আইনটিকে ‘অলিম্পিয়া আইন’ হিসেবে উল্লেখ করার পর থেকে সবাই ঐ নামেই ডাকা শুরু করে এটিকে।

আমি এখন আর ‘মোটা মেয়েটি’ নই।

ইন্টারনেটে হয়রানির শাস্তি দেয়, এমন একটি আইনের সাথে আমার নাম নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৭৩৫ঘণ্টা, অক্টোবর ১০,২০১৯
বাংলাপোস্ট২৪ /জামিল
সূত্র :বিবিসি বাংলা