অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বর্ণা নামে এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তার স্বামী রুবেল। এ সময় রুবেলকে সহায়তা করে তার বন্ধু তারেকুল নামে এক কিশোর। এ ঘটনায় গতকাল নিহতের স্বামী রিকশাচালক রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত রুবেলকে কারাগারে এবং তারেকুলকে গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেয়।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, সাত মাস আগে রুবেল-বর্ণার বিয়ে হয়। রূপনগরে এক বাসায়ই উভয়ের বাবা-মাকে নিয়ে থাকতেন। প্রায় সময়ই বর্ণা আলাদা বাসা নিয়ে থাকার জন্য রুবেলকে চাপ দিতেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। সোমবার সন্ধ্যায় রুবেলের মায়ের সঙ্গে বর্ণার ঝগড়া হয়। এ সময় বর্ণা তার শাশুড়িকে মারধর করে। বিষয়টি পরদিন সন্ধ্যায় রুবেল জানতে পারেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুবেল বাসায় এসে তার স্ত্রী বর্ণাকে বাইরে ডেকে নেয়। এরপর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের প্রাচীর টপকিয়ে তারা বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে ঢুকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে রুবেলের বন্ধু তারেকুল নামে এক কিশোর ছিল। প্রথমে গার্ডেনের ভিতরে একটি গাছের নিচে বসে রুবেল ও বর্ণা। এ সময় রুবেল তার মাকে কেন মেরেছে এ নিয়ে বর্ণার কাছে কৈফিয়ত চায়। রুবেল বলেন ‘তুই আমার মাকে মারছোস কেন? এখন তোরে আমি মাইরা ফেলামু, এতে তোর কোনো আপত্তি আছে?’ তখন বর্ণা তাকে বলেন ‘নাহ, কোনো আপত্তি নাই।’ এরপরই রুবেল মারার জন্য বর্ণার কাছ থেকে তার গলার ওড়না চায়। তখন বর্ণা তার গলার ওড়না খুলে রুবেলকে দেয়।রুবেল ওড়না নিয়ে বর্ণার গলায় পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধের চেষ্টা করেন। একা একা তাকে মারতে না পারায়, পাশে থাকা তারেকুলকে ওড়নার একপাশ ধরতে বলেন। রুবেল ও তারেকুল ওড়নার দুপাশ ধরে বর্ণার গলার সঙ্গে গাছে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এরপর লাশ পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তারা। পরদিন বর্ণা বাসায় ফিরে না আসায় তার মা কান্নাকাটি করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারেকুলসহ বর্ণাকে বাসার বাইরে যেতে দেখেছেন বলে জানায়। এ নিয়ে অনেক চাপাচাপি করার পর তারেকুল সব বলে দেয়। এরপর রুবেল ও তারেকুলকে আটক করে রূপনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।
বাংলাপোস্ট২৪/ জামিল
বাংলাদেশ সময়:২৩৩২ ঘন্টা ,১৯অক্টোবর ২০১৯