বাংলাপোস্ট২৪ ডেস্কঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারী-উপাচার্যপন্থী ও ছাত্রলীগের হামলায় ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।  

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল সোমবার রাত থেকেই আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপাচার্যকে তার বাসভবন থেকে বের করে তার কার্যালয়ে আনতে যান ভিসিপন্থীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় ভিসিপন্থীদের।

এদিকে ঠিক একই সময় শিবিরমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যায়। এরপর সেখানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলকারীদের হটিয়ে দিয়ে সেখানে এখন ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগের এই হামলায় তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যাদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস।

উপচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরতদের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক রাইন অভিযোগ করেন, ‘উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের একটি আমাদের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা। এতে তারা ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগকে আমাদের ওপর লেলিয়ে দেন। এরপর ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে হামলা করে আন্দোলন থামিয়ে রাখা যাবে না। এতে বরং আন্দোলন আরও বেগবান হবে।’

এর আগে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ কর্মসূচির খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অনেকেই ভিসির বাসভবনে চলে যান। নিরাপত্তার জন্য রাত থেকে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি করেছেন। উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় ছাত্রলীগকে ঈদ সালামি দিয়েছেন। তার স্বামী ও ছেলেও এ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে জাবি ছাত্রলীগের নেতারা সরাসরি অভিযোগ করেছেন। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্য।

বাংলাপোস্ট২৪/জামিল
বাংলাদেশ সময় ১৪৫৫ নভেম্বর ০৫,২০১৯