কবি রশিদ হারুন
————————
‘হ্যালো’ হ্যালো’
বলে ডাকছে ফোনটি সেই কখন থেকেই।
অবহেলায় ফেলে রেখেছো তাকে না জানি কোথায়!
ড্রয়িংরুমে, আলমারীতে নাকি ঘুম বালিশের নিচে চাপা দিয়েছো ফোনটি।
‘হ্যালো’
চিরকুট পাঠিয়েছি তোমায়
‘এক্ষুণ্ণি চাই তোমাকে’।
এই অ-ঘুমের মধ্য রাতে
আমি বার বার ছিড়ে যাচ্ছি নিজের
শরীরে-অশরীরে।
আমিতো এখনো সন্ন্যাস নেইনি,
গৃহস্থ ধর্মে যদিও আমার অরুচি ধরে গেছে বহুকাল আগেই।
তবুও প্রতিদিন
একই শরীর
এলোমেলো হয়ে যায় একই ভাবে-
গভীর রাতে নষ্ট আলোর নষ্ট মাথায়।
‘হ্যালো’
চিরকুট পাঠিয়েছি তোমায়
‘এক্ষুণ্ণি চাই তোমাকে’
ঢাকা শহর থেকে অনেকদূরে
ফোন ডেকে যাচ্ছে মধ্য রাতে।
আমার ইচ্ছে মৃত্যূর আনন্দের মিছিলের নিমন্ত্রণে শধু তোমাকেই ডাকছে।
আমাকে মেরে ফেলো ।
এক্ষুণ্ণি মেরে ফেলো।
তোমার বুকের গন্ধ লেগে থাকা –
তোমার আদরের কোল বালিশে মুখ চেপে।
‘হ্যালো’
চিরকুট পাঠিয়েছি তোমায়
‘এক্ষুণ্ণি চাই তোমাকে’।
ফোন বেজে যাক
তোমার কি!!
আমার বুকে, মাথায় আর শরীরে
তীব্র নষ্টামিতে মরবো আমি,
আজ রাতেই মরবো।
একা একাই।
‘হ্যালো’
দয়া করে চিরকুটটি পড়ো
‘এক্ষুণ্ণি চাই তোমাকে’।
যদি আজ চাঁদের মৃত্যূর আগে –
একজন পুরুষ মরে যায় আমার শরীরে,
তবে আমি তোমাকে ভয়ন্কর অভিশাপ দিলাম-
“তোমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরা
আদরের কোল বালিশের যেনো আজই মরন হয়-
একজন অ-পুরুষ মতোই
আমার পুরুষত্বের যতো হাহাকার নিয়ে”।
——————————————
রশিদ হারুন
২৬/১১/২০১৯