হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বলেছে, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ২০২০ সালের হজ ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ বিমান। এটা হলে হজ ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হাব হজ যাত্রীদের বর্ধিত বিমানভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি হোটেলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাবের সভাপতি এম শাহাদা হোসাইন তসলিম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি হোটেলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাবের সভাপতি এম শাহাদা হোসাইন তসলিম।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ২৮ হাজার টাকা। বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অজুহাতে ১২ হাজার টাকা ভাড়া বাড়িয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে, যা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
হাব সভাপতি বলেন, বিমানভাড়া বৃদ্ধির একটি বড় কারণ হয় জ্বালানির দাম, কর ইত্যাদির বৃদ্ধি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য দিয়ে হাব বলেছে, প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৭১ সেন্ট থেকে কমে ৫৮ সেন্ট হয়েছে। সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকার বিমানভাড়ার ওপর ধার্য করও বাড়ায়নি। তারপরও বিমানভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক বলে মনে করছে সংগঠনটি।
সাধারণ সময়ে ওমরাহসহ অন্যান্য যাত্রীদের ভাড়া তুলে ধরে হাব বলছে, বিমানভাড়া ৮৮ হাজার থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা হতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাব সভাপতি বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়ার সময় যুক্তি হিসেবে বিমানের পক্ষ থেকে ডলারের দাম ৭৫ সেন্ট বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়। সেটা মেনে নিলেও এক হাজার দু শ টাকার বেশি বৃদ্ধির কোনো যুক্তি তারা দিতে পারেনি। এ ছাড়া জেট ফুয়েলের দাম বাড়তির পরিবর্তে কমেছেও।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাবের সভাপতি বলেন, অনেক সময়ই নির্ধারিত ফ্লাইটের পরিবর্তে সাধারণ ফ্লাইটেও হাজিদের পরিবহন করা হয়। কিন্তু সেখানেও ভাড়া নেওয়া হয় হজ ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত হারে। এ বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিমান ভাড়া কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠনটি।