বাংলাপোস্ট২৪:

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় অংশগ্রহণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান। ।

গত সাতই এপ্রিল ঢাকার একটি এলাকা থেকে ৭২ বয়সী আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ।

সে সময় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, আব্দুল মাজেদ তাকে বলেছেন যে, গত ২০ থেকে ২২ বছর ধরে তিনি ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন। ভারতের কলকাতায় তিনি থাকতেন বলে জানান। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি কোন জায়গার নাম উল্লেখ করতে পারেননি।

পলাতক থেকে আপিলের সুযোগ হারানো আব্দুল মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেও তাও খারিজ হয়ে যায়।

পরিবারসহ শেখ মুজিবুর রহমান
পরিবারসহ শেখ মুজিবুর রহমান

এর আগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন আসামী এখনো পালিয়ে রয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে তাঁর দুই কন্যা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ”মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যায় অংশগ্রহণ করেনি, সে জেলহত্যায় অংশগ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা রয়েছে।”

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারের পথ খোলে। ২০০৯ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে ১১জনের ফাঁসির রায় আসে।

তবে সেই সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আব্দুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে ছিলেন।

সূত্র:বি বি সি বাংলা