কুষ্টিয়া সদর ও ভেড়ামারা উপজেলায় ১৮টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল রোববার রাতে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়েছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম। এর অনুলিপি রাতেই কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জোনিং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। রেড জোনের এই ঘোষণা অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
আজ সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, রেড জোনের আওতা ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে একটি গণবিজ্ঞপ্তি লেখা হচ্ছে। সেটা সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকে ব্যাপক প্রচার করা হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কোভিড-১৯–এর চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকা লাল, হলুদ ও সবুজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল রোববার সারা দিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যা ও সেখানে রোগীর সংখ্যা বিবেচনা করে জোন নির্ধারণ করেন। গত ১৪ দিনে কোনো এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন রোগী শনাক্ত হলে সেটি রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেন। চিহ্নিত করা শেষে রাতেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জেলায় রেড জোনের মধ্যে সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন ও কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। ওর্য়াডভিত্তিক এলাকাগুলো হলো কমলাপুর, থানাপাড়া, কুঠিপাড়া, চৌড়হাস, আদর্শপাড়া, হাউজিং, কালীশংকরপুর, বাড়াদি, জগতি, চেচুয়া ও কুমারগাড়া। ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন। এ ছাড়া ভেড়ামারা পৌরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফারাকপুর, নওদাপাড়া, পূর্ব ভেড়ামারা, কুঠি বাজার, দক্ষিণ রেলগেট ও বামনপাড়া।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড মঙ্গলবাড়িয়া ও বাড়াদি এলাকাতেই গত ১৪ দিনে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে জনসংখ্যা ২৫ হাজার ৫৫৪ জন।
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রেড জোন এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ) করার বিধান রয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসককে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৃণাল কান্তি দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেড জোনের ঘোষণার চিঠি পেয়েছি। জনপ্রশাসনের নীতিমালা অনুসারে গণবিজ্ঞপ্তি করা হচ্ছে।’
সূত্র: প্রথম আলো