বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সব ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে ইতালি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থাকা আসা ব্যক্তিদের জন্য নতুন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত বিমান যোগাযোগ আগেই বন্ধ হয়ে আছে। তবে বাংলাদেশ থেকে বিশেষ বিমান সার্ভিসের মাধ্যমে ইতালি গেছেন বেশ কিছু ব্যক্তি।
বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম তাহেরা খন্দকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমরা এখনো ইতালির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু জানি না। তাই চার্টার্ড বিমানগুলোর শিডিউলে কোনো পরিবর্তন নেই। ইতালির সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো”।
এর আগে গত সপ্তাহেই রোমের কাছে লাৎজিও অঞ্চলে ঢাকা থেকে আসা সব বাংলাদেশীদের করোনাভাইরাস টেস্ট করানোর জন্য স্পেশাল ডিক্রি জারি করা হয়েছিল।
গত সোমবার ২২৫ জন যাত্রী ঢাকা থেকে ইতালি পৌঁছান এবং এদের মধ্যে পরীক্ষা করে ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
এ তথ্য জানিয়ে লাৎজিও উর্ধতন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আজ বলেছেন, “একটি ভাইরাল বোমা আমরা নিষ্ক্রিয় করেছি”।
তবে লাৎজিও’র প্রেসিডেন্ট নিকোলা জিনগারেত্তি তার ডিক্রিতে ৩২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
যদিও এটি নিশ্চিত নয় যে এই সংখ্যা ওই ২১ জনকে সহ গণনা করা হয়েছে কি-না।
ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ৩২ জন পজিটিভ হওয়া ব্যক্তি বাইরে থেকে এসেছিলেন আর ১৫ জন ইতালিতে তাদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন।
এতে বলা হয় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের দু’সপ্তাহ কোয়ারেন্টিন যথেষ্ট নয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে ১৪ হাজার ৭০৯ জন করোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তি এখন আছেন এবং এর মধ্যে লাৎজিওতে আছেন ৮৭০ জন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৪৫ হাজার বাংলাদেশী ইতালিতে বসবাস করছেন।
দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে।
ইতালিতে থাকা বাংলাদেশী সাংবাদিক মোহাম্মদ ইউসুফ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে গত কয়েকদিনে মোট ৬০ জন বাংলাদেশী করোনাভাইরাস পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন ইউরোপের এই দেশটিতে পৌঁছানোর পর।