জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সময় আজ রবিবার কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর এটাই সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।

জাতিসংঘ বলছে,দেশজুড়ে বিক্ষোভের সময় আরো ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। ইয়াঙ্গন, বাগো ও দাওয়েই-এর মত অন্তত তিনটি শহরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সেখানেও বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টানগান ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সেদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানানোর পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

অং সান সু চি-কে হটিয়ে সেনাবাহিনী ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনে দিনে এই প্রতিবাদের মাত্রা আরো তীব্র হচ্ছে।

আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শনিবার থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে। তারা প্রচুর সংখ্যক প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করেছে।

সোশাল মিডিয়াতে এসব বিক্ষোভের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে – যাতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লাঠিপেটা করছে।

ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসির একজন সাংবাদিক বলেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে আহত বেশ কিছু লোকের ছবি দেখেছেন।