বাংলাপোস্ট২৪ ডেস্ক :
দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েট শিার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আলোচিত এই হত্যার বিচার দ্রæত শেষ করতে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকালে আবরারের বাবা-মা ও ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের এই আশ্বাস দেন সরকার প্রধান। বিকাল পাঁচটায় আবরারের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তার বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ভাই আবরার ফায়াজ সাব্বির, চাচা ও মামা গণভবনে আসেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আবরারের মা রোকেয়া খাতুনকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সাাৎকালে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাৎণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। আপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় কিছু শিার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেপ্তার হতো। তিনি আবরারের মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে সান্তনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি। এই সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে বুয়েট সহ দেশের বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এছাড়া ১৯ আসামিকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাপোস্ট২৪/সাফিউল