কবি রশিদ হারুন
একদিন মরে পড়েছিলাম বুক পুড়ে,
সংসারের ভিতরে অসংসারী ছিলাম একা একা ঘরে।
জীবিত ভেবে খেতে দিয়েছিলে কিছু পোড়া ভাত,
হঠাৎ বুকের ভিতর টের পেলাম ঈশ্বরের হাত।

তারপর চোখের সামনে ভেসে উঠলো-
একটা ভাঙা সাইকেল,
ক্ষেতের সরু আইল,
পুরোনো গরুর ঘর,
একটা কড়াই গাছ,
দু’জন বুড়ো-বুড়ি,
একজন বালক পুকুরে দাপড়াচ্ছে,
গরম গরম জিলাপির আঁচ ও ঠোঁটে টের পেলাম।

বাঁশঝাড়ের মাঝখানে কিছু মানুষ কবর খুঁড়ছে।
আর একটি লাশ অপেক্ষা করছে কবরে নেমে যাবার জন্য।
কে একজন শেষবারের মতো মুখটা দেখতে অনুরোধ করলো কাঁদতে কাঁদতে।
সাদা কাফনের ঢাকামুখ কাপড় সরাতেই চমকে উঠলাম!
আমারই মুখ।

অসংসারী মানুষ এ সংসারে
কখন যে মরে থাকে কেউ বুঝেনা।
তুমি-
অসংসারী মানুষটাকে মানুষ ভাবলে
পোড়া ভাত কখনো খেতে দিতেনা।
—————————————
রশিদ হারুন
০১/০৪/২০২০