কবি রশিদ হারুন
ধুর্ শালা,
অযথাই গোছালো আর ‌অগোছালো জীবনের মাঝখানে দু’পা দু’দিকে দিয়ে-
মাটি দাবরাচ্ছি কয়েক যুগ ধরে।

খোলাগলি আর কাঁনাগলি এক করে ফেলেছি জীবনের কাঁনামাছি ভোঁ ভোঁ খেলায়।
আমি হয়তো তাড়াতাড়ি মরে যাবো বলে
গোছালো এই অভ্যেসের জীবন আমাকে টানেনা।
না টানুক,
যাকে টানে টানুক এই জীবন-
আমারও কিচ্ছু যায় আসে না!!

তাড়াতাড়ি মরে যাবো বলে-
দুপুর বেলায় ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে চিৎ হয়ে শুয়ে সূর্য আর আলকাতরা গায়ে মাখি।
আমার ইচ্ছা!!
চলন্ত ট্রেনের ছাদে শুয়ে শুয়ে রাতের আকাশের জোছনা দেখি রাজা- বাদশার ভাব ধরে।
জোছনার আলোর সাথে নিয়ন আলো মিশিয়ে শরাব বানাবো বলে-
সারারাত কুত্তার মতো জিহ্বা বের করে ল্যাম্পপোষ্টের নিচে বসে থাকি।
কার কি!!-
আবার সকালবেলায় দিব্যি ভদ্রলোক সেঁজে অফিসে ফাইল টানি।
ধুর্ শালা-
এই গোছালো জীবনের নিকুচি করি।

আমি কাউকেই বোঝাতেই পারবো না-
এই গোছালো জীবনে
আমি খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবো।
আজকাল আকাশের দিকে তাকালেই
আমার কাক হয়ে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে।

কখন থেকে যে-
শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে ধোয়া জীবনে আমার এলার্জি হয়েছে
আমি বুঝতেই পারিনি!!
তাই এখন-
বারবার সর্বনাশ আর সর্বস্বান্ত হতে উঁকি মারি নিজেরই বুকে।

ব্যস্ত মানুষ তুমি।
তোমার গোছালো জীবনে একবারও পিছনে ফিরেও দেখলে না –
অগোছালো এই আমি তাড়াতাড়ি মরে যাচ্ছি।
সময় থাকলে একবার দেখে যেও তুমি-
আমি বেঁচে থাকতে-
যেভাবে অগোছালো ভাবে তোমাকে চাচ্ছি,
মরে গেলেও ঠিক সেই ভাবেই চাইবো।
শুধু
তোমার
আস্কারা
পেলে
এই অগোছালো জীবনে
আমি
কাউরে
গনায়ও
ধরিনা।
আমার জীবন-আমার ইচ্ছা।
—————————————
রশিদ হারুন
২৭/০১/২০২০