আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরতালেবান এক নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের নাম ঘোষণা করেছে।

নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মুল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। তিনি তালেবান নেতৃত্বের ‘রেহবারি শুরা’র প্রধান।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, মন্ত্রীসভায় উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আব্দুল গানি বারাদার।

তিনি তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

তালেবানের যে ক’জন কর্মকর্তা কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়েছে তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।

সংবাদ সম্মেলনে তালেবানর মন্ত্রীসভার ঘোষণা করছেন জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
,সংবাদ সম্মেলনে তালেবানর মন্ত্রীসভার ঘোষণা করছেন জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।

মি. মুজাহিদ বলেন, নতুন সরকারের প্রথম কাজগুলোর মধ্যে থাকবে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া এবং দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট মোকাবেলা করা।

তালেবানের নতুন সরকারের রূপরেখা গঠনে অন্তর্বর্তী মন্ত্রীসভা গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সেরাজুদ্দিন হাক্কানি।

তিনি জঙ্গি-দল হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান।

গত দু‌’দশকব্যাপী লড়াইয়ে আফগানিস্তানের ভেতরে অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী এই হাক্কানি নেটওয়ার্ক।

এটি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসীদের তালিকাভুক্ত একটি সংগঠন।

অন্যান্যদের মধ্যে তালেবানের মন্ত্রীসভায় ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হয়েছেন মুল্লা ইয়াকুব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন আমির খান মুত্তাকি। দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মুল্লা আব্দুস সালাম হানাফি।

মুল্লা ইয়াকুব তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বোচ্চ নেতা প্রয়াত মুল্লা ওমরের ছেলে।

এই মন্ত্রীসভায় কেন কোন নারী প্রতিনিধি নেই, এই প্রশ্নের জবাবে তালেবানের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিশনের প্রধান আমানুল্লাহ ওয়াসিক বিবিসিকে বলেছেন, মন্ত্রীসভার গঠন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

তবে এর আগে তালেবান জানিয়েছিল যে মন্ত্রী পর্যায়ে কোন নারী থাকবেন না।