যুক্তরাজ্যে ওয়েকফিল্ড এবং টিভারটোনের উপনির্বাচনে হেরে গেছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি।
ওয়েকফিল্ডে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে টিভারটোনে জয় পেয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটস।
আর একই দিনে দুটি আসনে হেরে যাওয়ার পর কনজারভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান অলিভার ডাউডেন পদত্যাক করেছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে বলেছেন, বর্তমান কনজারভেটিভ পার্টির সরকার ঠিকঠাক মতো কাজ করতে পারছে না, এ কারণে দুটি আসন হারিয়েছেন তারা।
দুটি আসন হারানো এবং দলের কো-চেয়ারম্যান পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্ব আরও নড়েবড়ে হয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন আগে তার নিজ দলের এমপিরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করেছিল।সেই ভোটে কোনো মতে বেঁচে যান বরিস।
নিয়ম অনুযায়ী আগামী এক বছরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আর কোনো অনাস্থা ভোট আনতে পারবে না টরি এমপিরা। তবে তারা বরিসকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ম পরিবর্তন করতে পারেন।
কারণ তার ওপর এখন আর আস্থা রাখতে পারছেন না দলটির বাকি সদস্যরা।
এদিকে রুয়ান্ডা সফরে থাকা বরিসকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার দল এ দুটি আসনে হেরে গেলে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা?
এমন প্রশ্নে বরিস বলেছিলেন, পদত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না।
তবে বরিসের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ওপরও অনাস্থা ভোট হয়েছিল। তিনিও বরিসের মতো অনাস্থা ভোটে টিকে গিয়েছিলেন। তবে কয়েক মাস পর থেরেসা মে প্রধামন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন।
সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, এনপিআর