ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পাঁচ মাসের মাথায় এসে যুদ্ধ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে সেই সিদ্ধান্ত এবার অবশ্যই নিতে হবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।
রুশ বাহিনী গত রোববার ইউক্রেনের লিসিচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে কৌশলগতভাবে এই শহরটি গুরুত্বপূর্ণ। এরপর একাধিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলে এএফপি। তাঁরা পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। নিচে তার আলোচনা করা হলো।
হয়রান রাশিয়া
ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে রাশিয়া। দুটি স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র নিয়ে অঞ্চলটি গঠিত। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর অভিযান শুরুর আগেই দনবাসের কিছু অঞ্চল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী রাশিয়াপন্থী।
প্যারিসের সোরবোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পিয়েরে গ্রাসার বলছেন, ‘সম্প্রতি লিসিচানস্ক ও সেভেরোদোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরে রুশ সেনারা এখন স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্ক শহর এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আশা করছে।’
তিনি বলেন, স্লোভিয়ানস্কে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে লড়াই চলছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়েছেন। যারা এখনো আছেন তারা রুশ বাহিনীকে স্বাগত জানাবেন বলে ধারণা।
তবে এর আশপাশের অঞ্চলগুলোয় রাশিয়া কতটা অগ্রগতি করতে পারবে সেটিও বড় প্রশ্ন।
মেডিটারেনিয়ান ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (এফএমইএস) একাডেমিক পরিচালক পিয়েরে র্যাজোক্স এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘(রুশ বাহিনী) তাদের নিজেদের সীমান্ত, অস্ত্র সরঞ্জাম রাখার স্থান আর বিমানঘাঁটিতে বেশ ভালোভাবেই সব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’