মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে আনোয়ার ইব্রাহিমের নাম চার দশকের পুরোনো। তবে দেশটির ক্ষমতার শীর্ষে তাঁর রূপকথার প্রত্যাবর্তনের ঘটনা নতুনই বলা চলে। নানা নাটকীয়তার পর তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রভাবশালী দেশটির ১০ম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন কিছুদিন আগেই। অবসান হয়েছে তাঁর ২৫ বছরের অপেক্ষার। বিরোধী নেতা হিসেবে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আনোয়ারের সামনে এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আরও বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। কারণ, এমন সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন দেশটির রাজনীতি চরম বিভক্ত আর অর্থনীতি অস্থিতিশীল।

মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে হলে এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আনোয়ারকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশটিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে হবে। আর বহু ধারায় বিভক্ত রাজনৈতিক অঙ্গনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে একসময় ইসলামি ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া আনোয়ারকে সামলাতে হবে কট্টর ইসলামপন্থীদের। এবারের নির্বাচনে একক দল হিসেবে তারা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে।

কুয়ালালামপুরভিত্তিক মালয়েশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শংকরন নাম্বিয়ার বলেন, মালয়েশিয়ার ইতিহাসের এ পর্যায়ে দেশটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে একটি প্রভাবশালী মধ্যম শক্তি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এই লড়াইয়ের সময় দেশটিকে আসন্ন জটিল অবস্থা থেকে বের করে আনতে আনোয়ারকে ভালোই প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।