বাংলাপোস্ট২৪:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মারা যাওয়া মালয়েশিয়াপ্রবাসীর ভাই ও তিন বছরের শিশুসন্তানের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই পরিবারের চার সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে তাঁদের করোনার পজিটিভ প্রতিবেদন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসেছে। মারা যাওয়ার পর ওই মালয়েশিয়াপ্রবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, ‘মারা যাওয়া মালয়েশিয়াপ্রবাসীও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আজ তাঁর ভাই ও কন্যাসন্তানের শরীরে করোনা পজিটিভ বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট আসে। তাঁদের দুজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। মৃত ওই প্রবাসীর স্ত্রী–ও জেলার আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।’ জানা গেছে, ৮ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে ওই মালয়েশিয়াপ্রবাসীর মৃত্যু হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে নমুনা সংগ্রহ করেন। মৃত্যুর পরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও মারা যাওয়া ব্যক্তির স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। তখন লাশের পাশে নিহতের স্ত্রী ও এক শ্যালিকা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রাতেই নিজ গ্রামে লাশ দাফন করা হয়। প্রশাসন ওই ব্যক্তির নিজের গ্রাম ও শ্বশুরবাড়ির গ্রাম দুটি লকডাউন ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পাশাপাশি মৃত্যুর পর প্রবাসীর কাছাকাছি থাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন চিকিৎসক, একজন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিকের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই মালয়েশিয়াপ্রবাসী গত ১৮ মার্চ দেশে আসেন। ২০ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন। এরপর একই উপজেলার অন্য গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, নতুন শনাক্ত দুজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। জেলায় এখন মৃত ৩ জনসহ ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
সূত্র:প্রথম আলো