বাংলাপোস্ট২৪:
এবছর হজে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যারা, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে উদ্বেগের কারণে তাদের বুকিং পিছিয়ে দেবার আহ্বান জানিয়েছে।
হজ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বান্তেন বলেছেন হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয় নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলেছেন হজের জন্য “কাগজপত্র এখনই চূড়ান্ত করবেন না, অপেক্ষা করুন”।
জুলাই আর অগাস্ট মাসে হজের জন্য প্রায় বিশ লাখ মানুষ মক্কা এবং মদিনায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ধর্মে বলা আছে, শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলিমদের জীবদ্দশায় একবার হজ পালন করা উচিত।
করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে আশংকার কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওমরাহ পালনের ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সৌদি কর্তৃপক্ষ মানুষজনকে মক্কা ও মদিনা এবং সেইসঙ্গে রাজধানী রিয়াদেও ঢুকতে দিচ্ছে না। দেশটিতে ইতোমধ্যেই ১,৫৬৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রাণ হারিয়েছে ১০জন।
“সৌদি আরব সবরকম পরিস্থিতির মধ্যেই হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য সব ব্যবস্থা নিয়ে পুরো প্রস্তুত রয়েছে,” রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেন মি. বান্তেন।
“কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্বব্যাপী একটা মহামারি নিয়ে কথা বলছি। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি তিনি আমাদের রক্ষা করুন। সকল মুসলমান এবং আমাদের নাগরিকদের জীবনের সুরক্ষা আমরা চাই।”
“তাই বিশ্বের সব দেশে মুসলমান ভাইদের প্রতি আমাদের আহ্বান- পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত (ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে) আপনাদের হজের কাগজপত্র চূড়ান্ত করবেন না” – বলেন মি. বান্তেন।
তিনি আরও বলেছেন, ওমরাহ স্থগিত ঘোষণা করার আগেই যারা ওমরাহ করতে এসে পড়েছিলেন তারা বর্তমানে যেসব হোটেল ব্যবহার করছেন, সেগুলো হজ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করা হয়েছে। যারা ফিরতে পারেননি তারা এবং যাদের স্বেচ্ছা-আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল তারা এই হোটেলগুলোতে থাকছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেছেন যে, যারা ওমরাহ ভিসার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন, কিন্তু ওমরাহ করতে পারেননি, আপাতত তাদের সেই অর্থ ফিরিয়ে দেয়া হবে।
সূত্র: বি বি সি বাংলা