বাংলাপোস্ট২৪:

করোনায় আক্রান্ত দম্পতি। ঢাকায় নমুনা দিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। বিষয়টি জানার পালিয়ে যান তাঁরা। তবে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান জেনে যায়। রাজবাড়ী জেলা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।

করোনা ‘পজিটিভ’ ওই দুজনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁদের কুষ্টিয়ায় আনার প্রক্রিয়া চলছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়ার সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্যমতে, ওই দুজন ঢাকায় থাকেন। সেখানেই তাঁরা করোনা ‘পজিটিভ’ হন। এটা শোনার পর তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। রাজবাড়ী থেকে তাঁদের আটক করা হয়। কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাংসদ আ ক ম সরওয়ার জাহানের অনুরোধে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁদের কুষ্টিয়ায় আনা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় আনার পর জেলা শহরে আরপিটিআই আইসোলেশনে রাখা হবে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ওই দম্পতি ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁরা ঢাকা থেকে পালিয়ে রাজবাড়ীতে এসেছেন, এমন তথ্য পাওয়ার পর পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশের সহযোগিতায় ওই দুজনকে জেলা শহরের বড়পুল এলাকা থেকে আটক করা হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁদের কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনোভাবেই কুষ্টিয়ায় আনার পক্ষে ছিলাম না। তারপরও সিভিল সার্জন তাঁদের নিয়ে আসছেন। এতে জেলার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। কারণ, পালিয়ে বেড়ানো রোগীদের কোনোভাবেই আইসোলেশনে ঠিকমতো রাখা যাবে কি না সন্দেহ আছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এভাবে বাইরের রোগীদের এনে বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলা ছাড়া কিছুই নয়।

সূত্র:প্রথম আলো