বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আল্লাহর পরেই বলা হয়, বিচারক সত্যকে ধর্ম বলে কাজ করবে। কয়েকদিন আগে আমাদের সুপ্রিম কোর্ট চিফ জাস্টিস বলেছেন, লেখালেখি করা ভালো কিন্তু রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয়- এটা আমরা মেনে নেব না। আমার প্রশ্ন, অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে হবে যে- কোন কাজে রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয়।’
আজ বুধবার রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে বিশাল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, ‘লেখালেখি করলে রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয়? সেজন্য মুশতাক আহমেদকে কারাগারে মৃত্যুবরণ করতে হয়? আর সেজন্য কার্টুনিস্ট কিশোরের সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করা হয়, তার মাথার মধ্যে রক্তপাত হয়? সেখানে ইমেজ নষ্ট হয় না রাষ্ট্রের? আমরা যখন দেখি প্রায় ৭০০ লেখক তারা লেখালেখি করার জন্য এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটকা পড়ে আছেন তখন রাষ্ট্রের ইমেজ নষ্ট হয় না।’
সমাবেশে ২টায় অনুষ্ঠিত হলেও দুপুর ১২ টার পর থেকেই সমাবেশস্থল ঘিরে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেন। প্রথমে মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় হলেও গত মঙ্গলবার রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করার কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা তাবিথ আউয়ালের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ হয়।
সমাবেশের সামনের দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, পল্লীমা সংসদ, খিলগাঁও সি ব্লক বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মঞ্চের পিছনে দিকে খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি ও খিলগাঁও চৌরাস্তা সড়ক খোলা রাখা হয়। এসব সড়কে র্যাব পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দর্শকসারিতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য শোনেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার এত দুর্বল নিজেদেরকে রক্ষা করতে নতুন নতুন আইন করতে হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। মোবাইল, ফেইসবুক-এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে,মনিটর করে। ইসরাইল থেকে তারা যন্ত্র নিয়ে এসেছে। যে দেশের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই। যেটা আবার আল-জাজিরা টেলিভিশন আবার সেটা প্রচার করে দিয়েছে। কী ভয়াবহ প্রচার। সেই প্রচারে আমরা বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম আমাদের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।’