এম এম নাছিরঃ

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেন নি। যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি সর্তক সংকেত দেওয়া ছিল। কিন্তু তূর্ণার নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

তূর্ণা-নিশীথার যাত্রীরা বলেন, ‘উদয়ন এক্সপ্রেস ঢোকার  আগেই বিপরীত দিক থেকে তূর্ণা-নিশীথা এসে ধাক্কা দেয়। আমরা তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। শব্দ পেয়ে আমরা তাড়াতাড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি।’

উদয়ন এক্সপ্রেসের একজন যাত্রী বলেন, ‘আমাদের ট্রেনটি লাইন ক্রস করার সময় দ্রুত গতিতে এসে তূর্ণা ধাক্কা দেয়। আমি সামনে বগিতে থাকায় আহত হইনি। পেছনের তিনটি বগির যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়েছেন।’

মন্দবাগের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে এসে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে মরদেহ। পরে এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।

দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুটি সরিয়ে লাইন আবার চলাচলের উপযোগী করতে লাকসাম ও আখাউড়া থেকে দু’টি রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ট্রেন চলাচল শুরু হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব মো: মোফাজ্জেল হোসেন।

এছাড়া আহত হয়েছেন দুই ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। আহতদের কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বাংলাপোস্ট২৪