যমজ আসছে জেনে মহা খুশি ছিলেন মার্কিন দম্পতি এড্রু লাউবাচ ও জেনিফার লবাবাচ। তবে সন্তান জন্মের দিন এগিয়ে আসতেই করোনার হানা। জেনিফারের যখন পানি ভাঙা শুরু হল তখন তিনি করোনভাইরাসের উপসর্গের সাথে লড়াই করছিলেন। তার স্বামী এন্ড্রুও করোনায় আক্রান্ত। এই অবস্থাতেও তিনি স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটেছেন।

এন্ডু যখন স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান তখন তিনি গুরুতর করোনার উপসর্গে ভুগছেন। প্রবল কাশি, নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না এবং কথাও বলতে পারছিলেন না। এমন অবস্থাতেও তিনি স্ত্রীকে যাত্রী সিটে বসিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে নেন। স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে এসে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি করোনা পজেটিভ। ফলে তিনি আর হাসপাতালে যেতে পারেননি।

জেনিফার স্মরণ করে বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আমি যখন তাকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়েছিলাম তখন আমি ভীত ছিলাম যে আমি তাকে আর দেখতে পাব না। আমি ভয় পেয়েছিলাম যে সে ঘুমের মধ্যেই মরতে চলেছে। স্বামী গাড়ি থেকে নামার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

লাউবাচ দম্পতি হলেন মিশিগানের ৩৭ হাজার কভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে অন্যতম। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের।

যদিও তাদের গল্পটি ভিন্ন, এন্ডু আন্ড্রে লাউবাচ একজন ৩৬ বছর বয়সী মার্কিন অ্যাটর্নি। ভাইরাসটি তার ফুসফুসে আক্রান্ত করলেও তিনি তার সন্তানদের জন্ম মূহুর্ত হাতছাড়া করতে চাননি। গত ৮ এপ্রিল তাদের যমজ পুত্র সন্তান মিচেল এবং মাকসিম জন্ম গ্রহণ করে। সে সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বাবা এন্ডু। পরে বাসায় ফিরে তিনি মারা যান। বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত হলেও শিশু দুটি একেবারেই সুস্থ, তাদের মাঝে কোন ভাইরাস নেই।

সূত্র- স্টাফ ডটকম।