কেবল অপারেটরদের চাপের মুখে ঢাকায় ঝুলে থাকা তারের জঞ্জাল কেটে ফেলার অভিযান আপাতত স্থগিত করার কথা জানালো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। দুপক্ষের এক সমঝোতা বৈঠকের পর কেবল অপারেটরদের সংগঠন আইএসপিএবি বলছে, তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনও বলছে, ঝুলন্ত তার মাটির নিচে সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে কেবল অপারেটররা।

গত অগাস্ট মাস থেকে ঝুলে থাকা তার কেটে ফেলার অভিযান চালিয়ে আসছিল কর্পোরেশন।

এরই এক পর্যায়ে আইএসপিএবি ঘোষণা দেয়, প্রতিদিন তিন ঘন্টা করে ইন্টারনেট ও কেবল টিভির সংযোগ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করার।

আজ (রবিবার) থেকে সেই প্রতিবাদ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কিছু সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মসূচী কিছুদিন পিছিয়ে দেয় কেবল অপারেটররা।

আর রবিবারই সিটি মেয়রের সাথে সমঝোতা বৈঠকে বসে আইএসপিএবি, যেখানে কেবল অপারেটরদের মালিকদের সংগঠন ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে চলমান টানাপোড়েনের আপাত সমাপ্তি হলো।

৯ই অগাস্ট পর্যন্ত প্রায় চার কোটি টাকার ঝুলন্ত তার কেটে ফেলা হয়।

ঢাকাকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত করার অংশ হিসেবে গত অগাস্টে শুরু হয় দক্ষিণ সিটির তার অপসারণ অভিযান।

এরই মধ্যে শান্তিনগর, ধানমন্ডি, সিটি কলেজ, নগরভবনের চারপাশ, ওয়ারি, মুগদা এলাকায় দার অপসারণ করা হয়েছে।

এসব অভিযানের কারণে ইন্টারনেট ও কেবল টিভির বহু গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সিটি কর্পোরেশনের সাথে কেবল অপারেটরদের আজকের সমঝোতা বৈঠক শেষে আইএসপিএবির মহাসচিব ইমদাদুল হক বলেন, তাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।

সেবা প্রদানকারী সংস্থা নিজেদের খরচেই তাদের কেবল সংযোগগুলো মাটির নিচে স্থানান্তর করতে রাজি হয়েছে বলে জানান মি. হক।

আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলছেন, আইএসপিগুলো নভেম্বরের মধ্যেই ঝুলন্ত তার সরিয়ে মাটির নিচে নেবে বলে জানিয়েছে। এজন্য নভেম্বর পর্যন্ত তার কাটার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।

মি. নাছের বলছেন, মাটির নিচে তার নেয়ার জন্য সড়ক-সহ অন্য কোন কিছু কাটার প্রয়োজন হলে সেজন্য অনুমতি দিয়ে সাহায্য করবে সিটি কর্পোরেশন।

আইএসপিএবি বলছে, তারা আগামীকাল (সোমবার) থেকেই মাটির নিচে তার নেয়ার কাজ শুরু করবে।

নভেম্বরের মধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কয়েকটি রাস্তার তার মাটির নিচে নেয়ার কাজও শেষ হবে বলে জানাচ্ছেন আইএসপিএবি-র মহাসচিব মি. হক।

তবে পুরো দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এই সেবা দেয়ার জন্য দুই বছর সময় চেয়েছে আইএসপিএবি।

রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করতে গিয়ে কোন ক্ষয়ক্ষতি হলে সেক্ষেত্রে জরিমানা এবং অনুমোদন নেয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয় মওকুফেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আইএসপিএবি বলছে, এ ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস পেয়েছে তারা।