পচিঁশে জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলেছেন ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমেই তারা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবেন।

ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মি. আলমগীর বলেছেন এভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমেই তারা বর্তমান সরকারের পতন ঘটাবেন।

বিএনপি মূলত দীর্ঘদিন ধরেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এর আগে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকার সমাবেশ থেকে সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলো দলটি।

আজ ঢাকায় সমাবেশে যারা এসেছেন তারাও বলছেন আন্দোলনের মাধ্যমে দাবিগুলো আদায় করতে দলের কর্মসূচিগুলো সফল করবেন তারা।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড  মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসেন নেতাকর্মীরা। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে এ সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় তারা সরকারবিরোধী শ্লোগান দেন।

অনেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি এবং এসব শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার প্লাকার্ড নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

ঢাকা ছাড়াও অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও একই সময়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এসব সমাবেশে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও অংশ নিয়েছেন।  

বিএনপির কর্মসূচির সাথে মিলিয়ে ঢাকায় কয়েকটি জায়গায় সমাবেশ করছে সমমনা কিছু দল ও জোট। এ সব সমাবেশ থেকে মূলত সরকারের প্রতি পদত্যাগের আহবানের পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।