বাংলাপোস্ট২৪ ডেস্ক:
রাবার চাষের উজ্জল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সংস্কার ও সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে মিঠাপুুকুর রাবার বাগান। বন সম্পদ উন্নয়ন কর্পোরেশন ১৯৮৭ সালে মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টি গোপালপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ একর জমিতে ২২শ রাবার গাছের চারা রোপন করে। মাত্র ৫ বছর বয়সেই চারা গুলো বড় হয়ে ১টি সুন্দর বাগানে পরিনত হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে রাবার গাছ থেকে কষ আহরণ শুরু করা হয়। প্রথম বছরেই ৩ হাজার ৬ শত কেজি কষ আহরণ করা হয়েছিল। রাবার বাগান স্থলেই আহরিত কষ দিয়ে রাবার শীট তৈরি করে মধুপুর রাবার বাগানে পাঠানো হতো এবং সেখানেই ধুমায়িত করার পর রাবার হিসেবে বিক্রি করা হতো।

তৎকালীন সহ ব্যবস্থাপক তোজাম্মেল হক জানিয়েছিলেন মিঠাপুকুর রাবার বাগানের গাছ থেকে আহরিত কষের মান চট্টগ্রাম, সিলেট ও মধুপুর বাগানের কষের তুলনায় গুনগত মান অনেক ভাল ও উন্নত। এছাড়াও এই উপজেলার মাটি ও জলবায়ু রাবার চাষের জন্য খুবই উপযোগী এবং বাগান সম্প্রসারণ করার মত পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। সম্ভাবনাময় এই রাবার বাগানটি অবহেলা ও অনাদরে এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অথচ রাবার বাগান সম্প্রসারনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও দেশের চাহিদা পুরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় রোধ করা সম্ভব ছিল।

কিন্তু কেন সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না এর সদুত্তর কেউই দিতে পারছেন না। কৃষি শিল্প হিসেবে এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে রাবার বাগান গড়ে তোলা হলে একদিকে যেমন কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হবে অন্যদিকে বিদেশ থেকে রাবার আমদানি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দিলীপ পাইকাড় বলেন, বর্তমানে রাবার বাগান থেকে কষ আহরণ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই সরকারী উদ্যোগে বন বিভাগের পতিত জমিতে নতুন নতুন রাবার বাগান গড়ে তোলা হোক।

বাংলাপোস্ট২৪/সাফিউল