অনলাইন ডেস্ক :

করোনা প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা মানছে না নাটোরের কোচিং সেন্টারগুলো।

গত ১৬মার্চ থেকে ৩১মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়মিত অভিযান ও অবহিতকরন কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করার কথা বলছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি নির্দেশনা জারির পর কৌশল পাল্টে সন্তানকে কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেন নাটোরের কতিপয় অভিভাবকরা। স্কুল ব্যাগের পরিবর্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছে শপিং ব্যাগ। যেন বাইরে থেকে কেউ বুঝতে না পারে ব্যাগের ভেতরে রাখা আছে বই।

সেইসাথে পাল্টে গেছে কোচিং সেন্টারের চিত্র। প্রথম দেখাতে গোলক ধাঁধায় পড়বেন যে কেউ। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম পরিহার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বিপুল পরিমান শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কোচিং সেন্টারগুলোতে। এ বিষয়ে সচেতন নয় শিক্ষার্থী ও কোচিং সেন্টারের পরিচালকরা।

তবে সচেতন মহল বলছেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ সময় সন্তানদের কোচিংয়ে পাঠানো বন্ধ করার উপর জোর দেন তারা।

গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে মাঠে নামে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অভিযান পরিচালনা করেন নাটোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবু হাসান। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং পরিচালনার দায়ে কয়েকজনকে অর্থদন্ড দিয়েছেন। এছাড়া নিয়মিত অভিযান পরিচালনার আশ্বাসও দেন তিনি।