বাংলাপোস্ট২৪:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের আলোচিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। পরাজয়ের পর এখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে সময় কাটাবেন। এ উদ্দেশ্যে আগামী এপ্রিল মাসে নিউইর্য়কে পরিবারের কাছে চলে যেতে পারেন।

গতকাল রোববার ডেইজী নিজেই সংবাদমাধ্যমকে এ কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আমি ভালোবেসেছি আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে, ভালোবেসেছি জনগণকে। বিজয়ী হয়ে জনগণের জন্যই কাজ করতে চেয়েছিলাম।’

ডেইজী বলেন, ‌‘পরাজিত হয়ে আমি দুঃখ পাইনি। আমার দুঃখ আমি আওয়ামী লীগকে এই আসনটি দিতে পারিনি। আমি জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার হয়ে জনগণের জন্য কাজ করেছি, আগামীতেও করতে চেয়েছিলাম। আমার সেই ইচ্ছা ছিল, শক্তি ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘‌ভোটের দিনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষ থেকে আমার ওপরে যে আচরণ করা হয়েছে সেটা মোটেও শোভনীয় ছিল না। জয়ের জন্য আমার চেষ্টার ছিল। কিন্তু এই নোংরা মানুষগুলোর কাছে আমি হেরে গেছি।’

৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ছয় হাজার ৩১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু। তার নিকটতম প্রার্থী ডেইজী সারোয়ার পেয়েছেন ২ হাজার ৯১ ভোট। আলেয়া সারোয়ার ডেইজী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। এর আগে তিনি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এই ওয়ার্ডে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইমতিয়াজ খানকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন সফিকুল ইসলাম সেন্টু।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মার্চে ঢাকা সিটিতে ডেইজীর মশকনিধনের একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে ওই ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে লেখা হয় প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর নেতৃত্বে এয়ারপোর্ট এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন ডেইজী। দুপাশে দাঁড়িয়ে মশা মারার ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করছেন দুই কর্মী। ভিডিওটি ওই সময়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।