বিশ্বজুড়ে  করোনাভাইরাসের নতুন ধরন (স্ট্রেইন) চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে পাকিস্তানে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় এক দিনে রেকর্ড ১১১ জন মারা গেলেন। এই সংখ্যা কোভিড–১৯–এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। খবর ডনের।

ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে শুধু বৃহস্পতিবার করোনায় মারা গেছেন ১১১ জন। আর  সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ২৫৬ জন।  গত ১৫ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই মহামারির দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরুর পর ১৫ ডিসেম্বর মারা যান ১০৫ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাও ছাড়িয়ে যায়।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) বলেছে, যুক্তরাজ্য করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণের বিষয়ে পাকিস্তান সতর্ক। তবে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়সাল সুলতান স্বীকার করেন, পাকিস্তানের স্বাস্থ্য খাতের বর্তমান অবস্থা এক হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরছে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দেশের পরিস্থিতি খারাপ।

এনএইচএস এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানে করোনা পরিস্থিতি নজরে রাখা হয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা সব বিমানযাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ শনাক্ত ও তা মোকাবিলা করার বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথকে (এনআইএইচ) সতর্ক রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্যে করোনার যে নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে সেটি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। পাকিস্তানে এই ধরনটির উপস্থিতি কীভাবে শনাক্ত করা সম্ভব, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনআইএইচ নিয়মিত সব ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স করে যাচ্ছে।