বাংলাপোস্ট ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ, এ পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে । পৌনে চারটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, ৭২৪ উদয়ন এক্সপ্রেস-২৯৩৪ মন্দভাগ লুপ লাইনে প্রবেশকালে ঢাকা অভিমুখী ৭৪১ তুর্ণা এক্সপ্রেস-২৯২৩ বিপরীত দিক থেকে এসে সংঘর্ষ ঘটায়।রেলওয়ে সূত্র জানায়, উদয়ন লুপ লাইনে ঢোকার সময় ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথার মেইন লাইনে থেমে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু সিগন্যাল না মেনে তুর্ণা সচল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
উদয়নের শেষ ৩টি কোচ ও তূর্ণার ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাকসাম থেকে ভোর সাড়ে চারটায় রিলিফ ট্রেন রওয়ানা করেছে বলে রেলওয়ে ফ্যানদের ফেসুবক পেজে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন মন্দবাগ লুপ লাইনে প্রবেশ করছিলো। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস উদয়নের শেষের ৩কোচকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর পরই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে আসে। যতোদূর সম্ভব তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে। এরপর উদ্ধার কাজে যোগ দেয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ভোর ৬টার কিছু আগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি কোচসহ পেছনের আরো ৩টি, মোট ৬টি কোচ রেখে বাকি কোচগুলো নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম রওয়ানা করে।