ভারতে পেঁয়াজের দাম তিনগুণ বেড়ে যাওয়ার পর সরকার সব ধরণের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যায় এবার গ্রীস্মকালীন ফসল মার খাওয়ার পর সেখানে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

কোন কোন নগরীতে প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ ষাট সেন্টেও বিক্রি হচ্ছিল।

দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড আছে, তার প্রধান অমিত যাদবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার একথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধ হচ্ছে।

ভারতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ হয় মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে যেমন পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না, তেমনি কর্ণাটক বা তামিলনাডু থেকেও পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না।

এই বিবৃতিতে অবশ্য রপ্তানি বন্ধের কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে ধরে নেয়া হচ্ছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেটাই এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ।

ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেও ভারত একেবারে আচমকা বাংলাদেশসহ সব দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

আমদানি করার ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশের ব্যাপক নির্ভরতা রয়েছে। গত বছরের ঐ সিদ্ধান্তের পর সাথে সাথেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য হয়ে উঠেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল কয়েক মাস।

ভারত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। প্রতি বছর দেশটি প্রায় ২০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে।

দক্ষিণ এশিয়ার রন্ধনপ্রণালীতে পেঁয়াজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।

ভারতের পেঁয়াজের ওপর বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকাও ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।