মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এবং তারা দুজন এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন। মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৭৪ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট এবং ৫০ বছর বয়সী ফার্স্ট লেডি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
তবে মিঃ ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কনলি একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডি “এই সময়ে দুজনই ভাল আছেন, এবং তারা সেরে না ওঠা পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের ঘরেই থাকবেন”।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমি আশা করি যে প্রেসিডেন্ট এই সময়ের মধ্যে বিনা বাধায় তাঁর দায়িত্ব পালন করে যাবেন এবং আমি সব খবর আপনাদের জানাবো।”
ট্রাম্পের নিকটতম সহযোগীদের একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার পরে বিষয়টি সামনে আসে।
ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে, তার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তিনি এবং ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে আছেন।
প্রেসিডেন্টের নিকটতম কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী এই উপদেষ্টা এখন অবধি প্রথম কেউ যার করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে।
তিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ওহাইওতে ট্রাম্পের সাথে ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি বিতর্কে যোগ দিতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন।
মিস. হিকস কোনও মাস্ক ছাড়াই ক্লিভল্যান্ডে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের জেট থেকে নেমেছিলেন, এমন ছবি প্রকাশ হয়েছে।
বিতর্কে অংশ নেওয়া মিঃ ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যদের কয়েকজনের মুখেও কোন মাস্ক দেখা যায়নি।
বুধবার মিনেসোটাতে এক সমাবেশ করার সময় হোপ হিকস প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানে প্রেসিডেন্টের আরও কাছাকাছি ছিলেন।
মিঃ ট্রাম্প কী বলেছেন?
মি. ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আজ রাতে তিনি এবং ফার্স্টলেডি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। আমরা আমাদের কোয়ারেন্টিন এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু করবো। আমরা একসাথে এর থেকে বেরিয়ে আসবো।”
এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে তিনি টুইট করেছিলেন: “হোপ হিকস, যিনি কোন বিরতি না নিয়ে এত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন, তিনিও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেন। ভয়ঙ্কর!”
“ফার্স্ট লেডি এবং আমি আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি, এই সময়ের মধ্যে, আমরা কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রক্রিয়া শুরু করবো!”
প্রেসিডেন্ট কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ১৫ই অক্টোবর নির্ধারিত দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট বিতর্কের ব্যবস্থাপনায় কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প “হোপের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন”।
“সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়,” প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন।
মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে।
ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে”।
বৃহস্পতিবার রাতে ফক্স নিউজের সঞ্চালক শন হ্যানিটির সাথে একটি ফোন কলে মিঃ ট্রাম্প বলেছিলেন যে তিনি এবং মিসেস ট্রাম্প “হোপের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন”।
“সুতরাং আমরা দেখব, কী হয়,” প্রেসিডেন্ট বলেন, মিস হিকস প্রায়শই মাস্ক পরতেন তারপরও তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন।
মিঃ ট্রাম্প বেশিরভাগ সময় মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন এবং সরকারী কাজের সময় প্রায়শই তার সহযোগী বা অন্যদের সাথে সামাজিকভাবে দূরত্ব মানতেন না বলে ছবিতে দেখা গেছে।
ব্লুমবার্গ নিউজ জানিয়েছে, মিস হিকসের শরীরে এই রোগের লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করলে মিনেসোটা থেকে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে তাকে কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিল পলিটিক্যাল নিউজ আউটলেট জানিয়েছে যে, হোপ হিকসের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবং এ সংক্রান্ত উপযুক্ত নোটিফিকেশন এবং সুপারিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে”।
হোয়াইট হাউসে আর কেউ করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন?
মিস হিকস হোয়াইট হাউস সর্বশেষ কেউ যিনি কোভিড -১৯ পজিটিভ হয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার মে মাসে করোনাভাইরাস পজিটিভ হন। এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
একই মাসে, ইউএস নেভির একজন সদস্য যিনি মিঃ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ভ্যালেটগুলোর একজন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনিও করোনাভাইরাস পজিটিভ হন।
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল যে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের কেউই তাদের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়েননি।
জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান, সিক্রেট সার্ভিসের বেশ কয়েকজন এজেন্ট, একজন মেরিন ওয়ান পাইলট এবং হোয়াইট হাউসের ক্যাফেটেরিয়া কর্মীও স্বাস্থ্যপরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছিলেন।
মিস হিকস হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হওয়ার এর আগে মিঃ ট্রাম্পের প্রার্থিতার সময় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার মুখপাত্র ছিলেন।
তিনি ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে, রুপার্ট মারডকের ফক্স নিউজের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তার চাকরি থেকে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এ পদত্যাগ করেছিলেন।
করোনাভাইরাস ৭২ লাখেরও বেশি আমেরিকান সংক্রামিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
হোয়াইট হাউস সহায়তাকারী যারা প্রেসিডেন্টের সংস্পর্শে আসেন, প্রতিদিন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
হোপ হিকস কে?
•যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের গ্রিনউইচে বেড়ে উঠেছেন।
•কৈশোরে মডেলিং শুরু করেন একবার রাল্ফ লরেনের বিজ্ঞাপনে তাকে দেখা গিয়েছিল।
•আগে একটি জনসংযোগ সংস্থার হয়ে কাজ করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানটি ইভানকা ট্রাম্পের ফ্যাশন ব্যবসা এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্র্যান্ড পরিচালনার কাজ করতো।
•২০১৪ সালে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে যোগ দেন এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বছর পরে তাকে তার প্রচার দলে নিয়ে আসেন।
•মিঃ ট্রাম্প তাকে “হোপস্টার” নামে ডাকতেন, তিনি তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সহায়ক এবং এমন কিছু লোকের মধ্যে তিনি আছেন যারা ট্রাম্পকে তার মতামত পরিবর্তন করতে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।