বাংলাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরুর আগের দিন মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন ঢাকার একাধিক এলাকার ব্যবসায়ীরা।

সোমবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এরই প্রতিবাদে রবিবার ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও নীলক্ষেত, মিরপুর, উত্তরার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেন।

এই সময় তারা ‘লকডাউন মানি না’ বলে শ্লোগান দেন। এই সময়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

লকডাউনের কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের
ছবির ক্যাপশান,লকডাউনের কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

নিউমার্কেটের একজন ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ”আমরা ব্যবসায়ীদের সারা বছরের ব্যবসা হয় এই সময়ে, ঈদের আগের দুই মাসে। গত বছর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে তো আমাদের পথে বসে যেতে হবে।”

তিনি দাবি করেন, যেভাবে বিশেষ বিবেচনায় শিল্প-কারখানা চালু রাখা হয়েছে, সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হোক।

একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন ঢাকার মিরপুর-১০, মিরপুর-১, ও আব্দুল্লাহপুরের দোকান মালিকরা।

মিরপুর থেকে স্থানীয় বাসিন্দা মুনমুন চৌধুরী বিবিসিকে জানিয়েছেন, দুপুরের পর পর কয়েকশো ব্যবসায়ী মিরপুর-১০ নম্বরের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা লকডাউনের সময় অন্তত চার ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি করেছেন।

এর আগে শনিবার রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে লকডাউনের সময় অন্তত চার ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।

বাংলাদেশে গত বছরের ২৬শে মার্চ থেকে দুই মাস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, যখন সব মার্কেট-শপিংমল বন্ধ থাকে। সেই সময় অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।

ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এবারও যদি পরবর্তীতে লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়, তাহলে ঈদের মৌসুমের এই সময়ে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন