বাংলাপোস্ট২৪ডেস্ক:(মো জামিরুল ইসলাম জামিল )

খেলাফত মজলিস প্রচলিত রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। দ্বীনি এ সংগঠনটির কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর নেতৃত্ব নির্বাচন-ই তার অন্যতম। নেতৃত্বের আসনে বসার জন্য নিজেকে প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করার সুযোগ নেই খেলাফত মজলিসে। প্রকাশ্যে বা গোপনে গ্রুপিং লবিং করার সাংবিধানিক কোন বৈধতা নেই। যদি এক্ষেত্রে কেউ অসাংবিধানিক আচরণ করেন তাহলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সংগঠন পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় এই প্র‍্যাক্টিস রয়েছে। নির্দিষ্ট জনশক্তিদের ভোটে একজন দায়িত্বশীল নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যখন দায়িত্ব গ্রহণের আহবান করা হয় তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কান্নায় ভেঙে পড়েন। দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালেও একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে শপথ বাক্য পাঠ করতে হয়। খেলাফত মজলিসের একজন নেতা কখনো কাজের কোন বিনিময় পৃথিবীর কারো কাছে চান না। ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন জান্নাত লাভ-ই হয় তার উদ্দেশ্য এবং মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জন-ই হয় তার লক্ষ। এ শিক্ষা দিয়েই প্রত্যেক জনশক্তিকে তৃণমূল থেকে গড়ে তোলা হয়। প্রতিহিংসা ও নোংরা রাজনীতির এ যুগে যেখানে পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, লড়াই ও রক্তপাত সেখানে খেলাফত মজলিসের পরিচ্ছন্ন ও আদর্শ নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতি এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে যার প্রমাণ ছোট্ট এ ভিডিও ক্লিপ। আল্লাহ এই সংগঠনকে কবুল করুন। উল্লেখ্য, গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সিলেট মহানগর খেলাফত মজলিসের সভাপতি নির্বাচিত হন হাফিজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান। সংগঠনের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের তাঁকে শপথ নিতে আহবান জানালে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।https://www.facebook.com/banglapost24/videos/2072148489651663