অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
আজ শুক্রবার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।’
তবে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ টিমের একজন জানিয়েছন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মরণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তা করছেন বিএনপি প্রধান।
গত ২৪ মার্চ থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় কোয়ারেইন্টানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধায়নে।
গত ২৫ মার্চ বিকালে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’য় আসেন খালেদা জিয়া। বাসায় আসার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে কোয়ারেন্টাইনে তার চিকিৎসা কার্য্ক্রম শুরু হয়। তার সাথে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও সেলফ কোয়ারেইটাইনে রয়েছেন ‘ফিরোজা’র দোতলায়।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের একাধিক সদস্যের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতাও অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থ্যারাপী দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে উনি আরাম অনুভব করছেন।
চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিকস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। তাকে বাসায় আনার পর তিনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন।
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবর পত্রিকা-পত্রিকার দেখে বেগম খালেদা জিয়ার মন খারাপ হয়ে যায়। মানুষজনের কী হবে, তারা কীভাবে বাঁচবে, গরীবদের কী হবে, তাদের চাকরি থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। এতে তার মনের ওপর চাপও পড়ছে। আমাদের সাথেও আলাপের সময়ে করোনার ভয়াবহতার বিষয়টি নিয়ে উনার মন খারাপ হওয়া ও মনযন্ত্রণার কথাটা আমাদেরকে বলেন।