বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এবং মূর্তি ইস্যুতে হেফাজতে ইসলাম পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করতে ঢাকায় শীর্ষ আলেমদের বৈঠক ডেকেছে শনিবার৷

এদিকে, আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মাঠে না নামতে দেয়ার৷ দলটি তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে এরইমধ্যে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে৷ আর কৌশল হিসেবে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি অব্যাহত রেখেছে৷

হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তারা দেশের বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনকে তাদের দাবির সঙ্গে যুক্ত করতে চায়৷ তার আগে তারা ঢাকায় বড় ধরনের কোনো সমাবেশ করবে না৷ এ কারণেই শনিবার তারা ঢাকায় শীর্ষ আলেম ওলামাদের সঙ্গে পরামর্শ সভা ডেকেছে৷ ওই সভায় চরমোনাইর নেতারা ছাড়াও আরো অনেক ইসলামিক নেতাকে রাখার চেষ্টা করছে তারা৷ তাদের দাবি অনেক ধর্মীয় নেতারা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাচ্ছেন৷ সভায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তারা৷ আর মূর্তি বিষয়ে ইসলামের ভাষ্য নিয়ে তারা একটা যৌথ বিবৃতি দেবে৷ হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গেপ্তারে যে দাবি উঠেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংঠনগুলোর কাছ থেকে সে ব্যাপারেও নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হবে৷

বৈঠকটি ডেকেছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান৷ এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড৷ আর কওমি মাদ্রাসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে হেফাজতে ইসলাম৷ হেফাজতের আমীর মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী তাকে দিয়ে কৌশলে এই বৈঠক ডাকিয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো কওমিপন্থিদের বাইরের মাওলানাদেরও দাবির ব্যপারে এক জায়গায় নিয়ে আসা৷

শুক্রবার ঢাকার শাহবাগ বা বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় হেফাজতের সমাবেশের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা নাকচ করে দেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফায়েজি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো সংঘাতে যেতে চাই না৷ শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই৷ ইসলামে মূর্তি হারাম তাই শুধু বঙ্গবন্ধু নয় জিয়াউর রহমানসহ দেশে যত মানুষের ভাস্কর্য আছে তা ভেঙে ফেলতে হবে৷ আমরা মনে করি মূর্তি আর ভাস্কর্য একই৷ দুইটার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই৷’’