স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া সংসারজীবনে হয়েই থাকে। কিন্তু ঝগড়ার পর ইতালির এক ব্যক্তি যা করলেন, তা হয়তো কেউ কল্পনাতেও আনেননি। রাগ কমাতে তিনি এক বা দুই মাইল না, হেঁটেছেন ২৮০ মাইল। দেশটির কঠোর লকডাউন ভঙ্গের অপরাধে পুলিশ না ধরলে হয়তো আরও পথ পাড়ি দিতেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘ইনডিপেনডেন্ট’–এর খবরে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাস সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ইতালির একেবারে উত্তরের এলাকা কোমোতে। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে লোকটি যান দক্ষিণ দিকে ফানো শহরে। আদ্রিয়াটিক উপকূলের ছোট্ট একটি শহর ফানো। কোমো থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৮০ মাইল।
৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাস সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবর্তী ইতালির একেবারে উত্তরের এলাকা কোমোতে। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে লোকটি যান দক্ষিণ দিকে ফানো শহরে। আদ্রিয়াটিক উপকূলের ছোট্ট একটি শহর ফানো। কোমো থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৮০ মাইল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ইতালিতে কঠোর লকডাউনের নিয়ম জারি রয়েছে। সেই নিয়ম ভাঙার অপরাধে গত শুক্রবার পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে আটক করেন। কিন্তু প্রথমে কর্মকর্তারা বিশ্বাসই করতে পারেননি যে তিনি এত দূরে হেঁটে এসেছেন। পরে তাঁর নাম যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, এক সপ্তাহ আগে তাঁর স্ত্রী তাঁর নিখোঁজ হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন।
ইতালির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তিনি শীতে জড়সড় হয়ে গিয়েছিলেন। খুব ক্লান্ত ছিলেন। তবে মাথা ঠান্ডা করতে এতটা পথ হেঁটে আসবেন, তা তিনি নিজেও কল্পনা করেননি বলে স্বীকার করেছেন। ওই ব্যক্তি বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক’ এই ভ্রমণের সময় তিনি অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে খাবার চেয়ে খেয়েছেন। দিনে তিনি গড়ে হেঁটেছেন ৪০ মাইল।
ফানোর একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, স্বামীর খোঁজ পেয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে নিতে ফানো শহরে আসেন। তখন তিনি পুলিশকে জানান, এক সপ্তাহ আগে কোমোর নিজ বাড়িতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তখন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। লকডাউন ভাঙার অপরাধে তাঁকে ৪০০ ইউরো জরিমানা পরিশোধ করতে হয়েছে বলেও জানান ওই নারী।