যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকি বেড়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানায়, গত ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনা সম্ভবত কিছু চরমপন্থীকে সাহসী করে তুলেছে।
এক নির্দেশনা বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই দপ্তর সতর্ক করে যে “সরকারি ক্ষমতার ব্যবহারে হতাশ কিছু ব্যক্তি”র কাছ থেকে হুমকির শঙ্কা রয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকি বেড়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বিভাগের প্রধানেরা।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানায়, গত ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনা সম্ভবত কিছু চরমপন্থীকে সাহসী করে তুলেছে।
এক নির্দেশনা বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এই দপ্তর সতর্ক করে যে “সরকারি ক্ষমতার ব্যবহারে হতাশ কিছু ব্যক্তি”র কাছ থেকে হুমকির শঙ্কা রয়েছে।
তবে সুনির্দিষ্ট কোন হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
সমর্থকদের তিনি বলেন: “আপনারা যদি শক্তভাবে লড়াই না করেন, তাহলে আপনাদের দেশই আর থাকবে না।”
একদল মানুষ তখন ক্যাপিটল ভবনের দিকে ধাবিত হয় এবং তারা নিরাপত্তা রক্ষীদের হটিয়ে ভবনে প্রবেশ করে। ওই দাঙ্গায় ক্যাপিটলের একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন মারা যায়।
সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে এরই মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত করা হয়েছে মি. ট্রাম্পকে। আর সেনেটে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী মাসে।
নির্দেশনা বার্তাটি বুধবার প্রকাশিত হয়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর মনে করে যে বর্ধিত এই হুমকি “নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেয়ার কয়েক সপ্তাহ” পর্যন্ত বজায় থাকবে।
এতে বলা হয়, “এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আদর্শগতভাবে অনুপ্রাণিত কিছু সহিংস চরমপন্থী, যাদের সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রেসিডেন্ট পদের পরিবর্তন নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, আর মিথ্যা বক্তব্যের কারণে তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তারা আরও উস্কানী পেতে পারে কিংবা সহিংসতা ঘটাতে পারে।”
নির্দেশনা বার্তায় আরো বলা হয়, ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার মাধ্যমে উদ্ভূদ্ধ কিছু “অভ্যন্তরীণ সহিংস চরমপন্থী” হামলা চালাতে পারে “নির্বাচিত কর্মকর্তা ও সরকারি দপ্তরে”।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জনসাধারণের জন্য গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন একটি সতর্কতা জারি করলো।
ক্যাপিটলে হামলা পুরো দেশকে হতবাক করেছে এবং কর্তৃপক্ষ এর সাথে সংশ্লিষ্টদের ধরতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
এই সহিংসতার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৪০০ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩৫ জনকে।
ক্যাপিটলে হামলাকারীরা টেলিগ্রামে প্রশংসিত হয়েছিলো
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বিবিসি নিউজের রেগান মরিস জানান, মার্কিন সরকার আমেরিকাবাসীকে ওইসব “অভ্যন্তরীণ সহিংস চরমপন্থীদের” কাছ থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে, যারা ৬ই জানুয়ারির দাঙ্গা থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারে।
দেশটির অনেকেই মনে করেন যে যারা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল তারা “দেশপ্রেমিক” এবং তাদের গুণকীর্তন করা উচিত।
টুইটার এবং ফেসবুকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেক ডানপন্থী সংগঠন সামাজিক মাধ্যম ‘টেলিগ্রাম’ ব্যবহার করতে শুরু করে। ক্যাপিটলে হামলাকারীদের স্বাধীনতাযোদ্ধা এবং বীর হিসেবে প্রশংসা করা হয়।
চ্যাট স্ট্রিমগুলো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, কিউঅ্যাননদের পরিকল্পনা, ইহুদী বিদ্বেষ আর এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সমর্থনে পরিপূর্ণ।
সাইটগুলোতে কে আসল আর কে একটি যান্ত্রিক ‘বট’ সেটি বোঝা খুবই কঠিন। কিছু কিছু পোস্ট খুবই ঘৃণাপূর্ণ এবং আপত্তিজনক। আর অনেকেই ইতিহাস কিংবা বর্তমান দিনের বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপেক্ষা করে সহিংসতা ছড়াচ্ছেন।
অনেক পোস্টদাতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সত্যিকার অনুসারী, যারা মনে করেন যে তারই এখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা উচিত।