কে কোন দল ও আদর্শের এটা দেখা পুলিশের কাজ নয়। পুলিশের আচরণ ভীতিকর ও সমাজে আতংক তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে বিচারকের সঙ্গে এসপির অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনার শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এক ঘণ্টা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে থাকেন পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত।
ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকালে এক বিচারকের সঙ্গে এসপি এস এম তানভীর আরাফাত অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশন ও সুপ্রিমকোর্টে অভিযোগ করেন ওই বিচারক। ক্ষুব্ধ হন বিচারকরা। তলব করা হয় পুলিশ সুপারকে। হাইকোর্টের তলবে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) হাজির হয়ে নিজের আচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান কুষ্টিয়ার এসপি। এসময় শুনানিতে বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, দেশটা যাতে পুলিশি রাষ্ট্র না হয়ে যায়। সম্প্রতি যশোরের পুলিশ সুপারের কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করা হয়।
পুলিশকে সতর্ক করে উচ্চ আদালত বলে, যে কোন মূল্যে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষা করা হবে। পুলিশের এমন আচরণ কাম্য নয়। ঘটনার সাক্ষী প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলীকে কোনো রকম হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এসপির বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। একই সঙ্গে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিক ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাউকে কোনো রকম হয়রানি না করতেও কুষ্টিয়ার এসপিকে সর্তক করেছেন হাইকোর্ট।