রুপালি পর্দায় আনন্দ ফেরি করেছেন তিনি। তার অভিনয়ে বুঁদ হয়ে থাকতেন এ দেশের কোটি সিনেমাপ্রেমী। ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনায় মন যখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকত, তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে। মানুষ তাকে দেখে হলে আসতেন। তার নামে দর্শক হলে আসত।

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদার। আজও যেন জীবন্ত হয়ে আছেন সবার হৃদয়ে। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল ১৯টি বছর, দিলদার নেই। থমকে নেই কিছুই, শুধু পর্দায় সেই হাসানো মানুষটাকে আর দেখা যায় না।পড়াশোনা বেশিদূর না গেলেও এসএসসি পাস করার পর পাঠ্যজীবনের ইতি টানেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পর চলচ্চিত্রে নাম লেখান দিলদার। ১৯৭২ সালে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়। যেটির নাম ছিল ‘কেন এমন হয়’। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন দিলদার। এরপর একে একে নিজেকে কৌতুক চরিত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। আরও পড়ুন: ঈদ বিনোদনে হলে হলে দর্শকের উচ্ছ্বাসউপহার দেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’র মতো অগণীয় দর্শকপ্রিয় সফল সিনেমা। তার জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে তাকে নায়ক করে ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমা নির্মাণ হয়। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য লাভ করে।