ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, এ বছর আরও সুন্দর, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর রমনায় পুলিশ কনভেশন হলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ উত্তর পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজযাত্রী হজে গমণ করতে পারবেন। সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তি সম্পাদনের পর মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদিত হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। সেখানে হজযাত্রী, হজ এজেন্সি, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হবে। 

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উন্নত করতে ইতিমধ্যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে হজযাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। হজ ব্যবস্থাপনায় অনিয়মকারীদের উপযুক্ত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। হজের আইনের অধীনে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী জানান, হজযাত্রীদের নিরাপদ, নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। এ বছর সৌদি আরব অংশের  শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করা হবে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান প্রমুখ।