বাংলাদেশে একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন এবং অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেপ্তারের পর আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাটি করেছে ঢাকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, সদ্য মুক্তি পাওয়া নবাব এল এলবি নামের চলচ্চিত্রে ধর্ষণের শিকার একজন নারীকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একটি দৃশ্যে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়, যা পর্নোগ্রাফি আইনে অপরাধ বলে তারা মনে করেন।

চলচ্চিত্রটির পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নবাব এল এলবি নামের চলচ্চিত্রটির অর্ধেক অংশ আই থিয়েটার নামের একটি অ্যাপে মুক্তি দেয়া হয়েছে গত ১৬ই ডিসেম্বর।

এরপর পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন এবং অভিনেতা শাহীন মৃধাকে ঢাকায় তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার দুপুরে তাদের ঢাকায় হাকিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

পুলিশের উধ্বর্তন একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটিতে একটি দৃশ্যে দেখানো হয় যে, ধর্ষণের শিকার একজন নারী থানায় মামলা করতে গেছেন। তখন সেখানে পুলিশের একজন এসআই তাকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন।

এই জিজ্ঞাসাবাদে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানাচ্ছে, যেটাকে পুলিশ একটি অপরাধ হিসাবে দেখছে এবং সেজন্য পর্নোগ্রাফি আইনের আওতায় মামলা করেছে।

পুলিশ বাহিনীকে ঐ দৃশ্যে হেয় করা হয়েছে বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন।

মামলার তদন্তকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, চলচ্চিত্রটির পরিচালক অনন্য মামুন এবং পুলিশের এসআই এর অভিনয় করা শাহীন মৃধাকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সেজন্য তাদের দু’জনকেই গ্রেপ্তার গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের অভিযোগ সম্পর্কে চলচ্চিত্রটির প্রযোজক বা সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চলচ্চিত্রটির অর্ধেক অংশ আই থিয়েটার অ্যাপে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। বাকি অর্ধেক অংশ ১লা জানুয়ারি মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।

Source:BBC