চীনের নেতা শি জিনপিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অস্বাভাবিকরকম সরাসরি ভাষায় তিরস্কার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশকে “নিয়ন্ত্রণে আনতে”, “ঘিরে ফেলতে” এবং “দমন করতে” চেষ্টা করছে।

চীনা পার্লামেন্টের এক বৈঠকে ব্যবসা-সংক্রান্ত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার সময় মি. শি বলেন, ওয়াশিংটন যা করছে তা চীনের জন্য “গুরুতর চ্যালেঞ্জ” বয়ে এনেছে।

প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ইউক্রেন সংকটের পেছনে রয়েছে “এক অদৃশ্য হাত” কিন্তু তিনি কোন দেশ বা ব্যক্তির নাম বলেননি।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোন পক্ষকেই চীন অস্ত্র দেয়নি এবং তিনি শান্তি আলোচনা আবার শুরু করারও আহ্বান জানান।

তবে চীনের নেতা এ প্রশ্নও করেন যে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রি করছে, সেখানে তারা কেন এমন দাবি করবে যে চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকুক?”

মি. শি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন ‘এক সংকটকাল’ অতিক্রম করছে।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বেশ কিছুকাল ধরে যে শীতলতা চলছে, গত মাসে চীনা বেলুন গুলি করে নামানোর ঘটনায় তা আরো তিক্ত হয়।

ওয়াশিংটন বলেছে, অনেক উঁচু দিয়ে উড়তে থাকা ওই বেলুন গুপ্তচরবৃত্তি করছিল কিন্তু মি. কিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া ছিল বাড়াবাড়ি।

বেজিং ওই বেলুনটি যে চীনেরই একথা স্বীকার করলেও বলেছে, আসলে এটি ছিল পথচ্যুত একটি বেসামরিক এয়ারশিপ।

‘সংঘাতের’ হুঁশিয়ারি দিলেন নতুন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কিন গ্যাং, চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবির ক্যাপশান,কিন গ্যাং, চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীন-মার্কিন সম্পর্ক বিষয়ে মি. শির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর বক্তব্যেও।

কিন গ্যাং সতর্ক করে দেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি গতিপথ পরিবর্তন না করে তাহলে সংঘাতের ঝুঁকি দেখা দেবে।

কিন গ্যাং হচ্ছেন চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি আগে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে গুরুতর বিচ্যুতি দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, চীনকে “নিয়ন্ত্রণ” ও “দমনের” চেষ্টা আমেরিকাকে মহান করবে না এবং তা চীনের পুনরুজ্জীবনকেও থামাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচনা করছে।

“এটা হচ্ছে শার্টের প্রথম বোতামটাই ভুলভাবে লাগানোর মত ব্যাপার” – বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।