বাংলাপোস্ট ডেস্ক :

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের হাতে দুই দফায় মার খেয়ে লতিফা বেগম (৫৭) নামের এক নারী বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তিতাসের কড়িকান্দি ইউনিয়নের বন্দরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ছেলে মো. শাকিল (৩৭) ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে আসামি করে বাবা আবুল কাশেম মামলা করেছেন।

তবে ঘটনার পর থেকে ছেলে শাকিল পলাতক থাকলেও স্ত্রী জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলের স্ত্রী জেসমিন জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় ও জমিজমা নিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে শাকিলের সঙ্গে মতবিরোধ হয় তার মায়ের। একপর্যায়ে শাকিল তার মাকে মারধর করেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিল আবারও তার মাকে মারধর করেন। পরে রাতে পাশের বাড়িতে চলে যান তিনি। আজ সকালে বাড়িতে এসে তিনি বিষপান করেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

কড়িকান্দি ইউপির সদস্য আবুল কাশেম মুন্সী বলেন, ‘তার (শাকিল) মা লতিফা বেগম আমার কাছে এসে ছেলের নির্যাতনের ব্যাপারে অভিযোগ করেন। শাকিল বিষয়টি ভালোভাবে না নিয়ে আবার তার মাকে মারধর করেন। আজ সকালে জানতে পারি, লতিফা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে শাকিল তার মাকে মারধর করেন। এই কাজে স্ত্রী জেসমিনও তাকে সহযোগিতা করেন। ছেলের হাতে মার খাওয়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।’

লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শাকিলকে ধরার জন্য অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ৭৪৮ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩,২০১৯
বাংলাপোস্ট২৪/জামিল